বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্যবহার হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ী
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : সারাদেশে মাকড়সার ফাঁদের মত জাল বিস্তার করে রেখেছে মাদকচক্র। মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ নানা মাদক দ্রব্যের মধ্যে ‘ইয়াবা’ ব্যবহারকে বেশি বেছে নিয়েছে মাদক সেবীরা। ইয়াবা ট্যাবলেটের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী চক্র। আর ইয়াবার মূল উৎপাদন কেন্দ্র মিয়ানমারের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়াবার ফ্যাক্টরী গড়ে উঠায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকা থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ইয়াবা প্রবেশ করছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীতে মাদক পাচারে নৌ-পথ, রেল-পথ, সড়ক-পথ, আকাশ পথ থাকলেও প্রধান ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে রেল ও সড়ক পথ। আর সড়ক পথের বিভিন্ন স্থানে থাকা চেক পোস্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের ভয়ে এখন বিলাশবহুল পরিবহনই বেশি ব্যবহার করছে ইয়াবা পাচারকারী চক্র।ভিআইপি পরিবহনে রাজধানীতে মাদক চক্রের বিভিন্ন রুট এর মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করে এমন ভিআইপি পরিবহনের বিলাশবহুল বাসগুলিতে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিলাশবহুল গাড়িতে ইয়াবা পাচারের অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই ধরনের পরিবহনে দেশের উচ্চ শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করার পাশাপাশি ওইসব ভিআইপি পরিবহনের মালিক দেশের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ। তাই পথিমধ্যে ওইসব পরিবহণগুলোকে সাধারণত চেক করে না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ বাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ওইসব বাস ব্যবহার করছে মাদক চোরা চালান চক্র।অপরদিকে ক্ষমতাসীন মালিক পক্ষকে পূঁজি করে পেশাগত কাজের পারিশ্রমিকের তুলনায় বহুগুণ বাড়তি টাকা আয় করতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে গাড়ির চালক ও হেলপাররা। যার ফলে মাদকের সাথে এখন আর কোন পাচারকারীরও প্রয়োজন হয় না। কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসের চালক ও হেলপাররে সহযোগীতায় পাচারের সহজ উপায় বেঁছে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
স¤প্রতি দেশের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা বিভিন্ন এলাকায় চেক পোস্ট পরিচালনা করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ফেনী থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন বাসে তল্লাসী চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ। চলতি মাসে মহাসড়কের চান্দিনায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা দেশ ট্রাভলস নামে একটি বিলাস বহুল বাসে তল্লাশী চালিয়ে ২ হাজার ৬ শতাধিক ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ঘটনার সাথে জড়িত চালক ও হেলপারকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মহাসড়কের চান্দিনার তীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রীণ লাইন পরিবহনের একটি বাস থেকে ২ হাজার পিচ ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারী মাসে মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলাধীন তীরচর এলাকায় গ্রীণ লাইন-ভলভো বাস থেকে ১০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ ১ জন, হানিফ পরিবহনের বাসে তল্লাসী চালিয়ে ৩হ াজার পিচ ইয়াবাসহ ১জন আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। এর আগের মধ্যেও একই স্থানে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গ্রীণ-লাইন ভলভো বাস তল্লাসী চালিয়ে ৭ হাজার ৮শ পিচ ইয়াবাসহ ২জনকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এবং চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে বিলাস বহুল বিভিন্ন বাস থেকে ২০ হাজার ৩৬০পিস ইয়াবাসহ ৬জনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।