Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেসিসি’র আট বাজারের আম পরীক্ষার পরামর্শ বিএসটিআই’কে

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : মৌসুমী ফল আম নিরাপদ খাদ্য হিসেবে নিশ্চিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কেসিসি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিএসটিআই’কে পরামর্শ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পরপরই নগরীর আটটি বাজারে আমদানীকৃত আম পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রতিদিন নগরীর কাঁচাপাকা ফলের আড়তে গড়ে ছয়শ’ মণ আমের আমদানী হচ্ছে। গেল বছরও পরীক্ষা-নিরাক্ষার পর স্থানীয় ফল মার্কেটের আম ও লিচুতে কার্বাইড, ফরমালিন ও ইথিলিন সনাক্ত করা যায়নি।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার বিএসটিআই কে দেয়া এক চিঠিতে উল্লেখ্য করেন, নগরীর ডাকবাংলা, বড় বাজার, নিউমার্কেট, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, ট্রাক টার্মিনাল, খালিশপুর ও দৌলতপুর বাজারে মজুতকৃত আমে উল্লিখিত ক্যামিকেল আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নগরবাসীকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খুলনার মেয়র গত সোমবার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেন।
স্থানীয় অপর সূত্র জানান, ফরমালিন ও কার্বাইড মিশ্রিত ফল লিভার, কিডনি, হার্ট ও ব্রেইন ইত্যাদি নষ্ট করে দেয়। ফরমালিকমুক্ত খাদ্যগ্রহনে পাকস্থলি, ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে ক্যান্সার হতে পারে।
কেসিসি’র ভেটেরেনারী সার্জন ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, আম পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিটস সরবরাহ নেই। তবে নগরীর দৌলতপুর সন্ধ্যা বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রূপসাঘাট ও ফুলবাড়ীগেট বাজারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাছ ও দুধ ফরমালিন মুক্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন জানান, ভারত থেকে আমদানীকৃত আম পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকা থেকে পরীক্ষার জন্য আমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কেসিসি’র পরামর্শ পাওয়ার পর বুধবার মহানগরীর আট বাজারে আমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা চলছে। বৈশাখের শেষ থেকে অন্যান্যা ফলমুলও পরীক্ষা করা হচ্ছে। গেল বছর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল জেলায় আমদানীকৃত ও উৎপাদিত আম ফরমালিন ও কার্বাইডমুক্ত বলে সনদ দেয়া হয়।
খুলনার কাঁচা-পাকা ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব বলেছেন, এখান পাইকারী বাজারে আমে ফরমালিন পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আম পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী যন্ত্রপাতি নেই। স্থানীয় কদমতলাস্থ ৭০টি পাইকারী আড়তে প্রতিদিন গড়ে ছয়শ’ মন আমের আমদানী হচ্ছে। আমদানীকৃত আম বৈশাখীগুটি, গোপাল ভোগ, গোবিন্দ ভোগ ও হিমসাগর জাতের। এখন সাতক্ষীরা থেকে আম আমদানী হচ্ছে। শনিবার নাগাদ চুয়াডাঙ্গার আম আসতে শুরু হবে। ২৭ মে নাগাদ রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ল্যাংড়া ও হিম সাগর জাতের আম আসতে শুরু করবে। সাতক্ষীরা থেকে আসা আমের প্রতি কেজির গড় পাইকারী মূল্য ৪০ টাকা। খুচরা বাজারে ৮০/৮৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ