Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদী শহরে দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী জেলা শহরের বাজীর মোড়ের পূরনো খালটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নরসিংদী পৌরসভা। ইতোমধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। খালের উপর নির্মিত কয়েকটি দোকান উচ্ছেদও করা হয়েছে। অন্যান্য দখলদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ আপিল শুনানীর সুযোগ দিয়েছে। তারা তাদের দখলের পক্ষে কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাদের দখল বহাল থাকবে। আর বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। নরসিংদী শহরের পুরনো অধিবাসীরা জানিয়েছে, শহরের বৌয়াকুড় বাজীর মোড় এলাকায় একটি পুরনো খাল ছিল। খালটি কবে, কখন, কিভাবে কারা কেটে ছিল তা জানা যায়নি। তবে সিএস রেকর্ড থেকে শুরু করে সকল রেকর্ডেই খালটির নকশা অঙ্কিত রয়েছে। এই খালটি দিয়ে শহরের পশ্চিমাংশ বানিয়াছল, রাঙ্গামাটি, পশ্চিমকান্দাপাড়া, তরোয়া, বাসাইল ইত্যাদি এলাকার পানি সরাসরি হাড়িধোয়া নদীতে পতিত হতো। খালটির গতিপথ ছিল শহরের পশ্চিমাংশ থেকে বাজির মোড়ের লাগ উত্তর সীমানা দিয়ে নরসিংদী সদর রোড ক্রস করে মুসলেহ উদ্দিন সুপার মার্কেটের পাশ ঘেসে লাইব্রেরী পট্টির পিছন ধিক দিয়ে হোটেল নিরালার নিচ দিয়ে বাজার মুখী রাস্তার পাশ ধরে বঙ্গআজাদ লাইব্রেরীর পিছন দিয়ে আবার রাস্তার পাশ ধরে সরাসরি সামসাধুর বাড়ীর পিছন দিয়ে হাড়িধোয়া নদী পর্যন্ত। পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অফিসিয়াল তদন্তের মাধ্যমে খাল ও খালের গতিপথ চিহ্নিত করে দখলদারদেরকে নোটিশ প্রদান করে।
কিন্তু কেউ তাদের দখলীভূত খাল থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় পৌর কর্তৃপক্ষ গত ১৬ মে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক দখলদার তাদের বক্তব্য শুনার জন্য আপিলের আবেদন করে। পৌর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আপিল শুনানীর সুযোগ দিয়েছেন। শুনানী শেষে পূনরায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এব্যাপারে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, নরসিংদী শহরে অতি পুরনো ৩টি খাল ছিল। যা দিয়ে এই শহরের পানি নিস্কাশিত হতো। বর্তমানে খালগুলো অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় খালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। নাগরিকদের এই অসুবিধা দূর করার জন্য দখলকৃত খালগুলো মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দখলদাররা যত শক্তিশালী হোক তাদেরকে উচ্ছেদ করে খাল সমূহকে দখল মুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ