Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনার আশপাশের লোকদের থেকেই সতর্ক থাকুন

প্রধানমন্ত্রীকে রিজভী

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে আমাকে দেশে আসতে বাধা দিয়েছিল’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর গতকালের (বুধবার) বক্তব্য ছিল তার স্বভাবসূলভ ও মিথ্যাচারে ভরপুর। তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেছেন যে, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সাথে আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত ছিল। তাই অন্যদের দিকে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই, আপনার আশেপাশের লোকদের সম্পর্কেই সতর্ক থাকুন। তিনি আরও বলেন, দেশের অস্থীতিশীল চালের দাম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ডাহা মিথ্যাচার করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ মে তাহলে দেশে আপনি কী করে ঢুকলেন? তখন তো জিয়াউর রহমানই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। বরং আপনি দেশের আসার তের দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। মানুষ এও বিশ্বাস করে যে, আপনার পথের কাঁটা ভেবে আপনার পৃষ্ঠপোষকরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তান রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, যে গণতন্ত্রকে বন্দী করেছেন সেটিকে মুক্ত করুন। মানুষের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। আপনাদের অন্তরে অ¤øান আবারো একদলীয় নির্বাচনের বাসনা পরিত্যাগ করুন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। হিংসাপরায়ণ রাজনীতি পরিহার করুন, মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য, কদর্য ও কুৎসিত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। গণতন্ত্রের ধারা সচল থাকলে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারেনা।
দেশের অস্থীতিশীল চালের দাম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ডাহা মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, ফসলহানি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তার বাস্তবতার মোটেও মিল নেই। হাওর এলাকায় প্রায় সম্পূর্ণ ফসল বিনষ্ট হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে ডাহা মিথ্যা কথা বলে রক্ষা পেতে চাইছেন। কিন্তু এখানে রক্ষা পাওয়ার আর সুযোগ নেই।
মিথ্যা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ। স্বেচ্ছাচার ও দুর্নীতির চাপে গণতন্ত্র ও বহুত্ত¡বাদকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে সরকার জনরোষকে আটকানোর জন্য বিএনপির সিনিয়র  নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখছে। বরকত উল্লাহ বুলুকে আটক সেই অশুভ পরিকল্পনারই অংশ।
রিজভী বলেন, শরীয়তপুর জেলাধীন ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ধানের শীষের প্রার্থী নুর উদ্দিন দর্জি ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধানের শীষ মনোনীত চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন দর্জি যাতে দায়িত্ব পালন করতে না পারে সেজন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, নাজমুল হক নান্নু, শহীদ উদ্দিন চৌধূরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।



 

Show all comments
  • শিপন ১৯ মে, ২০১৭, ১২:৪১ পিএম says : 0
    একদম ঠিক কথা বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ