Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালিগঞ্জে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শ্যামনগর জুড়ে গ্রীস্মের শুরু থেকে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সিডর আর আইলা’র প্রভাবে এখানে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে এসব এলাকায় খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই পুকুরের পানি পান করছে। আবার অনেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছে। সাতক্ষীরার উপক‚লবর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, কালিঞ্চি, মথুরাপুর ও কুপোট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। উপক‚লীয় এলাকায় খাবার পানির তীব্র খাবার পানির সঙ্কটের কথা স্বীকার করে সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নতুন করে প্রায় দুই শতাধিক গভীর/অগভীর নলক‚প ও আরও শতাধিক আরএসএফ ও পিএসএফ বসানোর কথা তিনি জানান। শ্যামনগরের বয়ারসিং গ্রামের মহব্বত আলী জানায় এলাকায় নলক‚পের পানিও লবন। যে কারণে পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে খেতে হয়। তিনি আরও বলেন, তার নয় সদস্যের পরিবারের জন্য প্রতিদিন তাদেরকে তিন কলস করে পানি সংগ্রহ করতে হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে অনেক আগে থেকে এসব এলাকায় কাবার উপযোগী পানির সঙ্কট চলছিল। তবে আইলা’র কারণে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সে সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে। এছাড়া এবারের বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে এসব এলাকার মানুষ যথেষ্ট পরিমান পানি সংরক্ষণ করতে না পারায় গ্রীষ্মের শুরু থেকে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জ ফুলবাড়ি গ্রামের জাহানারা বেগম জানায় পাঁচ জনের সংসারে প্রতিদিন দুই কলস খাবার পানির দরকার। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জনৈক সফিকুল ইসলামের বাড়ির পুকুর থেকে পানি এনে খেতে হয়। তবে সে পানি লবণাক্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আইলা’র পর দু’বার পুকুরটি খনন করার পরও লবণ কাটেনি। তাই বাধ্য হয়ে ওই লবনাক্ত পানি পান করতে হয়। কদমতলা গ্রামের কলেজ ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানান, তাদের এলাকায় গভীর বা অগভীর নলক‚পের পানি লবনাক্ত। যে কারণে গোটা এলাকার মানুষ বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খায়। পরবর্তী সময়ে বর্ষাকালের সংরক্ষিত পানির পাশাপাশি পুকুরে স্থাপনকৃত পিএসএফ এর পানি পান করে। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এখনও পুকুরের পানি খাবারের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপক‚লবর্তী শ্যামনগর উপজেলায় ১৪১৮টি গভীর, ৩২২টি অগভীর নলক‚প চালু রয়েছে। এছাড়া এসএসটি ৩৯৭ এবং প্রায় চারশত পিএসএফ সচল রয়েছে। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর আরএসএফ ও পিএসএফ সমূহ মানুষের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটাতে পারছে না। তিনি আরও জানান, এ বছর নুতন করে শতাধিক গভীর-অগভীর নলক‚প স্থাপনসহ ১৩০টি আরএসটি এবং ১০টি এসএসটি স্থাপন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ