Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলারোয়ার গ্রীষ্মের তাবদাহ ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা: গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে ভ্যাপসা গরম ও বিদ্যুতের লুকোচুরিতে কলারোয়ার মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, সারাদিন কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যায় কর্মজীবি মানুষ ঘরে ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বসতেই বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। প্রতিদিন টানা দেড় ঘণ্টা পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা নাগাদ বিদ্যুতের দেখা মিলে। ফলে কাজের শেষে ঘরে ফেরা মানুষগুলো ভ্যাপসা গরমে ঘামে ভিজে যায়।
শিক্ষার্থীরা কুপি বা বিকল্প আলোয় পড়ে ঘাম ঝরে ভিজে যায় তাদের বই-খাতা। শুধু তাই নয় একদিকে তীব্র গরম ও আলোর অভাবে সন্ধ্যায় রান্না ও ঘর গৃহস্থলীর কাজ হাট বাজারের ব্যবসা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আবার রাত ১২টা নাগাদ কমপক্ষে ঘণ্টা খানেকের জন্য দ্বিতীয় দফা লোডশেডিংয়ে কর্মক্লান্ত ঘুমন্ত মানুষ ঘামে চুপসে হাসফাস করতে করতে জেগে উঠে। বিশেষ করে শিশুদের কান্নাকাটিতে ঘর থেকে বের হয়ে খোলা আকাশের নীচে পায়চারী করে জীবন বাচাতে হয়। রাত শেষে আবাহওয়া ঠান্ডা হয়ে আসার পরে তৃতীয় দফা লোডশেডিয়ের কবলে পড়ে কলারোয়ার মানুষ।
দিনের বেলা কতবার লোডশেডিং চলে গ্রামগঞ্জের কর্মজীবি মানুষ তার সব খবর রাখে না। তবে বেলা ১০টা বাজার পরে বাতাস উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। বেলা ১১টার পর প্রখর রোদের তাপে উত্তপ্ত আবাহওয়ার দেহে জ্বালা ধরতে শুরু করে। অনেক এলাকায় বোরো ধান ঘরে উঠাতে ব্যস্ত কৃষকরা তাপদাহে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। বেলা ১২টার পরে প্রচন্ড তাবদাহে মানুষ মাঠের কাজ ফেলে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়।
কিন্তু লোডশেডিয়ের কারণে বাইরে গাছ তলায় বসে একটু ঠান্ডার পরশ পেতে চেষ্টা করে। দীর্ঘ দিনের খরায় পুকুর ডোবা নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ায় কেউবা ঠান্ডার পরশ পেতে দূর দূরান্তের চলে যায় পানিতে গোসল করতে। দুপুরে কয়েক দফা লোডশেডিংয়ে মানুষ শান্তিতে দুমুঠো ভাত খেতে পারে না। খেতে বসে ঘামে চুপসে যায়। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছপালার নীচে আশ্রায় নিতে বাধ্য হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, কলারোয়া উপজেলা সদরের মানুষ যাতে ক্ষিপ্ত না হয় তার জন্য উপজেলা সদরে লোডশেডিং হয় খুবই সীমিত আকারে। কলারোয়ার গ্রামগজ্ঞে মানুষ বিদ্যুত বিভাগের চরম খামখেয়ালী থেকে বাঁচতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ