Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝালকাঠিতে নদী ভাঙনে বিলীনবসতঘর ও ফসলি জমি

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠিতে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন। সুগন্ধা, বিষখালী ও গাবখান নদীর ভাঙনে এরইমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি। ভাঙনের মুখে আছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মরিচ, মুগ, ছোলাসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকির মুখে আছে অসংখ্য বড়িঘর ও ফসলি জমি। ঝালকাঠিতে বর্ষা আসার আগেই সুগন্ধা, বিষখালীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সুগন্ধা ও বিষখালীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর ৮টি পয়ন্টে মোট ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে জায়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিভিন্ন রবি ফসল বিশেষ করে মরিচ, মুগ, ছোলাসহ অন্যান্য শাক-সবজির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মাত্র দুই বছর আগে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেউরি সাইক্লোন শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি এখন বিষখালী নদীর ভাঙনের মুখে। যেকোনো সময় এটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভবানীপুর লঞ্চঘাট, স্কুল, বাজার, মসজিদ, বাদুরতলা বাজার, হদুয়া দরবার শরীফ, বৈশাখিয়া স্কুল এবং মাদ্রাসা, চাঁদপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের মুখে আছে। এ ব্যাপারে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম জানান, এরইমধ্যে কয়েকটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ