Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত ৩ লক্ষাধিক মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকটে সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতলটি নানা সমস্যা বিরাজ করছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট, প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, অপারেশন বন্ধ থাকা, এ্যাম্বুলেন্স লক্কর ঝক্কর হওয়াসহ নানা সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে এই চিকিৎসা কমপ্লেক্সটি। এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৩২ চিকিৎসকের পদ থাকলেও ২২ টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। এ হাসপাতালে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও একজনও এখন আর কর্মরত নেই। কাগজে কলমে ১০ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও এর মধ্যে ৪ জন গত প্রায় ৫ বছর যাবত কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনপুস্থিত আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করায় কার্যত ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন এখানে। এর মধ্যে একজন দুই মাসের ট্রেনিং রয়েছেন। ফলে ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসক সংকটের কারণে চাটমোহরের তিন লক্ষাধিক মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা থেকে। চিকিৎসক সংকটের কারণে আউটডোরে আসা রোগীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চাটমোহরের রোগীদের একই ধরণের চিকিৎসক পেতে ঢাকা, রাজশাহী, পাবনাতে যেতে হয়। দূর দূরান্ত গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। জানা গেছে, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী, জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি,জুনিয়র কনসালটেন্ট আর্থোসার্জারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি ও জুনিয়র কনসালটেন্ট চর্ম পদে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ হাসপাতালে কর্মরত নেই। এছাড়া ডেন্টাল সার্জন, সহঃ সার্জন অ্যানেসথেসিষ্ট ও সহকারী সার্জন (আই এম ও) পদ ও ফাঁকা রয়েছে। ১১ টি ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১১ জন সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও ৬ টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ রোগী চিকিৎসার নিতে আসেন। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী ও ইমার্জেন্সী বিভাগের রোগী ও দেখতে হয়। সব মিলিয়ে যে কয়েকজন চিকিৎসক এখানে কর্মরত আছেন তারা চাপের মধ্যে থেকেও সব সময় সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়। অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ