Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে - প্রধানমন্ত্রী

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৭, ১:৩৪ পিএম | আপডেট : ২:৫৬ পিএম, ১৮ মে, ২০১৭

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলে আগামী ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বন্যা দুর্গত খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাংকের ঋণ আদায় স্থগিত করা হয়েছে। কৃষকরা যাতে আবার ঘুরে দাড়াতে পারে তার জন্য বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করা হবে। সহজ শর্তে কৃষি ঋণ দেয়া হবে। তিনি হাওরাঞ্চলের কৃষকদেরকে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি সবজি চাষ এবং হাস মুরগী পালনের আহবান জানান। তিনি বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি নদী খনন করা হবে। নদী ভাঙ্গা মানুষগুলোকে ঘর নির্মাণসহ হাওরাঞ্চলে আবাসিক স্কুল নির্মাণ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে ঘাতকরা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, নিষ্পাপ শিশু রাসেলসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াত যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন না করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছে। দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এই এলাকার বাবরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে খালেদা জিয়া বান্দরের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছিল। সে এলাকার বারোজনকে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তারা আন্দোলনের নামে দেশের অগণিত মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে। আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। আমি দেশ ও জনগণের সেবা করতে এসেছি। আমি আপনাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। দেশের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামীতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি এ সময় ৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ এক হাজার টাকা করে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে তিনি নগর ইউনিয়নের ভল্লবপুর গ্রামেও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু ঢাকায় বসে মিডিয়ার সামনে কথা বলে, মির্জা ফখরুল এসেছিলেন ফটোসেশন করে চলে গেছেন। খালেদা জিয়াও এখানে আসেননি। ত্রাণ দেননি।
জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এমপি, ছবি বিশ্বাস এমপি, ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এমপি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ্ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় ও পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।



 

Show all comments
  • md. mahbubul haque ১৮ মে, ২০১৭, ১১:৫২ পিএম says : 0
    হাওর অঞ্চলে সময়ে-অসময়ে উজানের পাহাড়ী ঢল/বন্যা মোকাবেলার মাধ্যমে জনগণের জান-মাল/ফসল রক্ষা এবং রেল যোগাযোগ বিস্তার করে (টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ টেকসই বাঁধ কাম-রেল যোগাযোগ) যাত্রী পরিবহন/পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে হাওর এলাকার আর্থিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা রেলওয়ে স্টেশন হতে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হয়ে ছাতক রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন (ভৌগলিক গুরুত্ব অনুযায়ী) আকর্ষণীয় রেলওয়ে স্টেশনভবনসহ ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হোক এবং (জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন হয়ে মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইন- কে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তরকরণসহ) ছাতক রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইন- কে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তরকরণ ও সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে তামাবিলগামী হাইওয়ের পাশ দিয়ে বা সুবিধাজনক স্থান দিয়ে জাফলং বা আরো ভিতর পর্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হোক। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে জামালপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের পরিবর্তে বড্রগেজ রেললাইনে রূপান্তকরণ এবং জামালপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর করা হোক যাতে, খুলনা, রাজশাহী, পঞ্চগড় ইত্যাদি অঞ্চলের ব্রডগেজ ট্রেনসমূহ বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলওয়ে জংশন স্টেশন-সিলেট হয়ে জাফলং পর্যন্ত চলাচল করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ