Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাজেকের খাদ্য সংকট নিরসনে সীমান্ত হাট বসানোর দাবি

রাঙামাটির আ’লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা : রাঙামাটির বাঘাইছড়ির দূর্গম সাজেকে খাদ্য সংকট পরিস্থিতি নিয়ে একটি মহল পানি ঘোলা করছে বলে অভিযোগ করেছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল (বুধবার) দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সাজেকে সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা হলো ২৫০০। স্থানীয় আঞ্চলিক দলের অব্যাহত হুমকির কারণে এই সকল পরিবারগুলো জুমচাষ করতে না পারায় চলমান খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ৪০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, নগদ ১০ লক্ষ টাকা বিতরণ সম্পন্ন করা ছাড়াও আরো বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাজেকের প্রকট খাদ্য সংকট নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় চেষ্ঠা চালাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে কেউ যাতে কর্ণপাত না করেন এবং সাজেক নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেই গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হয়েছে আওয়ামীলীগ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাজেকের চলমান খাদ্য সংকট নিরসনে পার্বত্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে আরো পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য শস্য বরাদ্ধ দেওয়ার দাবি জানান আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শীঘ্রই সাজেক সংকট মোকাবেলায় দলীয়ভাবেও খাদ্য শস্য বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারত তার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেওয়ায় সাজেকের লোকজন পূর্বেকার মতো তাদের উৎপাদিত জিনিসপত্র আনানেয়া করতে পারছেনা অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ জানান, সীমান্তবর্তী উক্ত সাজেকের দূর্গম এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকটসহ উক্ত এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানোন্নয়নে সাজেকের সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সাথে যোগাযোগ করে সীমান্ত হাট বসানো হলে উক্ত এলাকার অধিবাসীরা খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ