পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জানুয়ারি-মার্চে মূল্যস্ফীতি কমে ৫.২৮ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নারীর ক্ষমতায়নে তাদের তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধিতে শুরু করা ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় সহ আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান পৌঁছে দিতে সারা দেশের ৪৯০টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রায় ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি আগামী ২০২২ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুস্তফা কামাল জানান, মোট ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৭৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
মুস্তফা কামাল বলেন, “এর আগে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘তথ্য আপা: প্রথম পর্যায়’ বাস্তবায়িত হয়েছিল। ওই পর্যায়ে ১৩টি উপজেলার ১৩টি তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে এখন দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সফলতায় এবার দ্বিতীয় পর্যায় অনুমোদন দেওয়া হল। তথ্য প্রযুক্তিতে দেশের এক কোটি নারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।”
সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্লান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা।
‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম অঞ্চল) প্রকল্প,’ যার এর ব্যয় ৪৩৬ কোটি টাকা। ‘দেশের পার্বত্য অঞ্চলের শ্রমিকদের কল্যাণ সুবিধাদি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’; এর ব্যয় ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ‘নেত্রকোনাÑবিশিউড়াÑঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; এর ব্যয় ২৬১ কোটি টাকা।
‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ হতে মিনার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ‘বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউট (বারটান) এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১৬৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
মূল্যস্ফীতি কমেছে বিবিএসের হিসাবে
সম্প্রতি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির খবরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রথা ভেঙে গতকাল প্রথমবারের মতো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে।
মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
অর্থাৎ ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে সে পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। আর ২০১৭ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এসে সে পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ২৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
এর আগে মাসিক হিসাবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ফেব্রæয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। তার পরে মার্চ ও এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য আলাদা করে প্রকাশ করা হয়নি।
মাসিক থেকে ত্রৈমাসিক হিসাবে রূপান্তরের কারণ ব্যাখ্যা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রতিমাসের ডাটা যথাসময়ে পাওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ডাটা সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলেই আমরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া আমার নিজেদের স্বস্তির জন্যই এটা করছি।”
এতোদিন মাসিক ভিত্তিতে ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হলেও চলতি অর্থবছর থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবিএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোন কোন পণ্যের দাম আগের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর মধ্যে খাদ্য খাতে রয়েছে- চাল, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, টেংরা মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কাঁচা মরিচ, সয়াবিন তেল, চা পাতা ও দুধ।
আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরনের কাপড়, জ্বালানি ও আলো, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।