দেশের ১৬ জেলায় নির্মাণ হচ্ছে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নত মানের পাসপোর্ট সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৮৭ কোটি টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে প্রকল্পটি। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।
যেসব জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট নির্মাণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নাটোর, জয়পুরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, শেরপুর ও সিলেট। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন সবকিছু বিকেন্দ্রী করণ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট একটি অন্যতম সেবা। নানা কারনে মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে। সেজন্যই পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশের মানুষ ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে যাতে ভিড় না করে। এজন্য জেলা পর্যায়েই এসব সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক চাকরি, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য বিদেশে যায়। এ সংখ্যা দিন দিন দ্রæত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের পাসপোর্ট প্রয়োজন। ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ এর মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা দেয়া হতো। সরকার জনগণের দোর গোড়ায় পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দিতে আরও ৫২টি পাসপোর্ট অফিস সৃষ্টি করেছে।
বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসের সংখ্যা ৬৭টি, তার মধ্যে ৬৪টি জেলার ৬৪টি, ঢাকার উত্তরা ও করোণীগঞ্জে অতিরিক্ত দু’টি ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে অতিরিক্ত একটি। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৪টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১৯টিসহ ৩৪টি অফিস নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৭ টি জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে, ৬৮৪ দশমিক ১ বর্গমিটার ৫ তলা অফিস ভবন নির্মাণ, বাউন্ডারী ওয়াল ও গেইট নির্মাণ, ৫০৬ বর্গ মিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ১২২ দশমিক ৭৩ বর্গমিটার কম্পাউন্ড ড্রেন, একটি ডিপ টিউব অয়েল এবং ৫০ কেভিএ সাব স্টেশন স্থাপন করা হবে।