বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামে সন্দেহভাজন দুটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালিয়ে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সক্রিয় দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ৪টি বোমা উদ্ধার করেছে। সেলিম ও প্রান্ত নামে নব্য জেএমবি’র ২ সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এই অভিযান চালানো হচ্ছে। একই এলাকায় আরো তিনটি আস্তানায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং কালে জানান, ঝিনাইদহ সদরের ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে গত রাতে সেলিম ও প্রান্ত নামে ২ নব্য জেএমবির সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সেলিম ও প্রান্তর বাড়ি দুটি ঘিরে অভিযান শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে খুলনা থেকে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয় দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তারা প্রান্ত’র বাড়ির পাশের বাঁশ-বাগানের নিচে গর্ত খুড়ে দুটি সক্রিয় সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করে। তিনি প্রান্ত’র বাড়ির অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এখন সেলিমের বাড়ির ৫টি স্পটে অভিযান চলছে বলে জানান। এ অভিযানকালে দুপুর ২টার দিকে সেলিমের বাড়ির পাশের গর্ত খুড়ে ৪টি সক্রিয় বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আরও বোমা ও বিস্ফোরক-দ্রব্য থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। সন্ধ্যা নাগাদ এ অভিযান শেষ হতে পারে বলে তিনি জানান।
র্যাবের এএসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুলনা থেকে আসা র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট অভিযান শুরু করে।
ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তারা মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সেলিম ও প্রান্ত নামে দুই ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রাখে। দুপুর পর্যন্ত দুইটি বাড়িতে অভিযান শেষ করা হয়েছে। বাকী তিনটিতে অভিযান চলছে।
এই নিয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় চারটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালিত হলো। গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে জঙ্গি অভিযানে নিহত হয় তুহিন ও আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার যে বাড়িতে অভিযান চলানো হয় সেটি জঙ্গি তুহীনের ভাই সেলিম ও তার চাচাতো ভাই প্রান্ত'র ।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশপুরের বজরাপুরে তুহিন নামের এক জঙ্গি নিহত হয়। তার স্বজন ও সহযোগীদের অনুসরণ করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছে তুহিনের রেখে যাওয়া কিছু বিস্ফোরক থাকতে পারে। এ সন্দেহ থেকে তুহিনের বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।
উল্লেখ্য গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর, সদর উপজেলার লেবুতলা ও ২১ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনিপাড়ার ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ ওরফে প্রভাত ওরফে বেড়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বজরাপুর ও লেবুতলায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটি ও মঙ্গলবার র্যাব অভিযান পরিচালনা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।