বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম শাখা সোনালী ব্যাংকে সব অনিয়ম ও দুর্নীতিকে নিয়মে পরিণত করছে কর্মকর্তারা। সেখানে টাকা ছাড়া নড়ে না কোন চেক বা ফাইল। অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা সরাসরি টাকা না নিয়ে দালাল দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক কথায়, দালাল চক্রের কবলে পড়ে ব্যাংকের গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠার বাঁক গ্রামের আবাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৭-৮ জন দালাল সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন সংক্রান্তে ব্যাংক অফিসারদের সহযোগিতা করে থাকে। ব্যাংক কর্মকর্তা ও দালালচক্রসহ সবার জন্য ঋণ গ্রহীতাদের থেকে ১৫-২০% টাকা কেটে রাখে। সব কিছু দেয়ার পরে নামমাত্র টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ঋণের বোঝা ঋণগ্রহীতাদের মাথায় থাকে। এছাড়াও ঋণ গ্রহীতরা ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার আবদুল মান্নান ও নুরুল আমিনকে খুশি করতে ব্যাংকে প্রবেশের আগেই দালাল চক্রের মাধ্যমে ব্যানসন সিগারেট কিনে দিতে দেখা যায়।
রোববার অফিস চলাকালীন সময়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জুনিয়র অফিসার আবদুল মান্নান ও নুরুল আমিন অফিসে বসে দিব্যি সিগারেট টানছেন। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধা ও পেনশানভোগীরা টাকা উত্তোলন করতে এসে সিগারেটের ধোঁয়ায় বিরক্তবোধ হয়ে সিগারেট টানা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হলে তারা বলেন, সিগারেট খাওয়া তেমন দোষের কিছু নয়। লুঙ্গি পরিহিত দালালরা ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্ন টেবিলে আনা-নেওয়া করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জুনিয়র অফিসার দুইজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ব্যাংকের স্টাফ নেই, তাই বাইরের লোকেরা সহযোগিতা করছে। এতে সমস্যা কোথায়?
এ বিষয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ আবাদ হোসেন জানান, ‘কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি। এখন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
অপরদিকে সোনালী ব্যাংক কুমিল্লা অঞ্চলের ডিজিএম আনোয়ার ইকবাল বলেন, ‘আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।