বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কৃষকরা এখন আউশ ধান রোপন নিয়ে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন। শ্রমিক সংকটের কারণে চাষাবাদ নিয়ে অনেকটা বিপাকে তারা। তবে চা-বাগানের উপজাতি নারী-পুরুষ শ্রমিকরা ভাটি এলাকায় ছুটে এসে জমি চাষাবাদের কাজ করছে। ক্ষেত খামারে এখন সনাতন পদ্ধতির গরু লাঙ্গল জোয়াল দিয়ে চাষ পদ্ধতি নেই বল্লেই চলে। আধুনিক পদ্ধতি কলের লাঙ্গল (ট্রাক্টর) দিয়ে চলছে জমি চাষাবাদের কার্যক্রম। ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজাতি শ্রমিকরা দাগ কাটা নির্দিষ্ট বাঁশ দিয়ে জমিতে ধান রোপন করে থাকে, যার ফলে আগাছা দমনকারী উইডার দিয়ে সহজেই আগাছা দমন করতে পারে। এ পদ্ধতি মাধবপুরে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। উপজেলার সুরমা, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, বৈকন্ঠপুর, নয়াপাড়া ৫টি চা-বাগানের শতশত শ্রমিক ভাটি এলাকার আউশ ধান জমিতে কাজ করলেও তাদের বেতন বৈষম্য উল্লেখ করার মত। পুরুষ শ্রমিকদের দেওয়া হয় ২৫০/৩০০ টাকা কিন্তুু নারী শ্রমিকদের ১শ থেকে দেড়শ টাকা। চা-বাগান এলাকায় শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের এ মজুরিতেই সন্তোষ্ট থাকতে হয়। উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীর জাত ৩ হাজার হেক্টর এবং ২ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতীয় ধানের আবাদ হচ্ছে। সার, বীজ ও জ্বালানী তেল এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকায় কৃষকরা আবাদত শংকা মুক্ত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল হক জানান, চলতি আউশ মৌসুমে যা লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আবাদ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।