Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই যুগেও স্থায়ী হয়নি সোনালী ব্যাংক কর্মচারীদের চাকরি মানবেতর জীবনযাপন

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা : ঝালকাঠিতে দুই যুগেরও বেশি সময় অস্থায়ী ভাবে কাজ করছে সোনালী ব্যাংকে কর্মচারীরা। এত দিনেও চাকরি নিয়মিত না হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। জেলার নলছিটি উপজেলা সোনালী ব্যাংকে কর্মচারী পদে খন্ডকালীন হিসেবে চাকুরী করছেন মো. আনসার আলী। ১৯৮০ সালের ১ জুন মাসিক ২৫ টাকা বেতনে তিনি চাকরিতে অন্তর্ভূক্ত হন। যোগদানের পর থেকে ৩০টি বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার চাকুরী এখনও নিয়মিত হয়নি। বর্তমানে বেতন রয়েছে ৯ হাজার টাকা। বয়সও প্রায় শেষ। বর্তমান বাজারে সামান্য ৯ হাজার টাকা দিয়ে সংসার খরচ, সন্তানদের পড়াশুনাসহ সার্বিক ভরণ-পোষণ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। কোনরকম পর্যায়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন আনসার আলী। শুধু আনসার আলীই নয়, এধরনের বৈষম্যের স্বীকার রয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন শাখায় কর্মরত খন্ডকালীন কর্মচারীরা। শুধু ঝালকাঠিই নয় সারাদেশে সোনালী ব্যাংকে খন্ডকালীন বেশ কিছু কর্মচারী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর চাকুরী করেও নিয়মিত হতে পারেননি। ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, এমএ পাশ করেও স্থায়ী হওয়ার আশায় পরিচ্ছন্ন কর্মচারী হিসেবে যোগদান করে এখানে অস্থায়ী ভাবে কাজ করছে। এব্যাপারে প্রধান মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না তারা। ১৯৯৫ সালের ১২ এপ্রিল ভোলা সোনালী ব্যাংকে কর্মরত খন্ডকালীন কর্মচারী আব্দুল মজিদকে খন্ডকালীন পদ থেকে অস্থায়ী পদে স্থানান্তর করা হয়। খন্ডকালীন কর্মচারীরা আরো জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। যার বর্তমান নাম সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। সোনালী ব্যাংকে কর্মরত খন্ডকালীন কর্মচারীরা ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে অত্যন্ত সততা, দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এব্যাপারে সোনালী ব্যাংক এ্যাম্পøয়ীজ ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে। খন্ডকালীন কর্মচারীদের নিয়মিত কর্মচারী পদে স্থানান্তর করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত’র নিকট দাবি জানিয়েছেন খন্ডকালীন কর্মচারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ