পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্ল-টবিনের বয়স যখন দুই বছর তখন তার শরীরে মারাত্মক ক্যান্সার সনাক্ত করে চিকিৎসকরা। তারা শেষ কথা বলে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানালেন, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র দশভাগ। বেঁচে থাকার কোন আশা না থাকায় ব্ল টবিনকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। এর কয়েকদিন পর চিকিৎসকরা জানালেন, তারা একটি শেষ চেষ্টা করতে পারেন।
ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা দুই বছর বয়সী ব্ল টবিনের শরীরে এমন এক ধরনের উচ্চমাত্রার ঔষধ প্রয়োগ করা হবে যেটি তার বয়সী কোন শিশুর শরীরে আগে কখনো প্রয়োগ করা হয়নি। এ ঔষধ প্রয়োগ করলে হয়তো সে কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে আবার তার মৃত্যুও হতে পারে। অনেক ভেবে চিন্তে ব্ল টবিনের মা-বাবা সে ঔষধ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে সে ঔষধ ব্ল টবিনের শরীরে কাজ করা শুরু করলো। একটা সময় এসে তার শরীরে থাকা ক্যান্সারের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে গেলো। চিকিৎসকরা তাকে ক্যান্সারমুক্ত ঘোষণা করলেন।
আট বছর বয়সী ব্ল টবিন কয়েকদিন আগে লন্ডনের বিখ্যাত ক্যান্সার হাসপাতাল রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানে এসে তিনি ক্যান্সার বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘণ্টা বাজালেন। ব্ল টবিনকে এখন চিকিৎসকরা ‘বিস্ময়কর শিশু’ হিসেবে অভিহিত করেন। ক্যান্সার থেকে তার সেরে উঠা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
ব্ল টবিনের শরীরে যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেটি বেশ ব্যয়বহুল ছিল। সে ঔষধ নিয়ে গবেষণার জন্য অনেকেই অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মাইক পর্টার বলেন, ‘আমি তাকে বিস্ময় শিশু বলে ডাকি। আমি গত ২৫ বছরে এ ধরনের কোন ক্যান্সার রোগী দেখিনি যে শেষ পর্যায়ে গিয়েও আবার সুস্থ হয়েছে’।
ব্ল টবিনের মা-বাবা এবং চিকিৎসকরা বলছেন যেভাবে সে বেঁচে উঠেছে সেটা তার ‘দ্বিতীয় জন্মের’ মতো। বড় হয়ে একজন সংগীতশিল্পী হতে চান ব্ল টবিন। তার এ ‘দ্বিতীয় জন্মে’ সে গান ও সুরের মাধ্যমে মানুষকে মাতিয়ে রাখতে চান। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।