Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ইটভাটা ক্ষতিগ্রস্ত শত শত বিঘা জমির ধান

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুড়ার আদমদীঘিতে ইটভাটার গ্যাস, কালো ধোঁয়া ও জ্বলন্ত কয়লা ও কাঠেঁর কুচি পুরে শত শত বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা দুঃচিন্তায় পরেছে। এ ঘটনায় ভাটা মালিকের সাথে একাধিকবার বৈঠক করার পর ভাটা মালিক ক্ষতিগ্রস্থ কুষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিলেও কৃষকদের দাবি ভাটা বন্ধ করার। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার তিলকপুর সড়কের পার্শ্বে আবাদি জমির উপর সান্তাহারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ সাজ্জাদ আরোরয়া ইটভাটা তৈরি করে ইট পোড়ানোসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এতে করে এই ইটভাটার গ্যাস, বিষাক্ত ধোঁয়া ও জ্বলন্ত কয়লা ও কাঠের কুচি উড়ে এসে পরে আশেপাশের জমির চলতি ইরিবোরো ধান পুরে চিটা হতে শুরু করেছে। এতে ধানের ফলন বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খয়ড়াবাজ গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমারসহ এলকার বহু কৃষকের ধানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ভাটা মালিকের সাথে কয়েকবার বৈঠক করার পর আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ষোল আনা ক্ষতিপূরণ চাই এবং আগামিতে এই ভাটা যেন চালু না করা হয় প্রশাসনের নিকট এই দাবি জানাচ্ছি। একই গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ধানি জমির মাঠে এই ভাটা তৈরীর পর থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছি। আগে অল্প কয়েকজনের ক্ষতি হয়েছে। দিন দিন ব্যাপক আকার ধারণ করছে। এসবে প্রশাসনের লোকজন কোন খেয়াল রাখে না। একই এলাকার মোঃ আজিজুল বলেন, আমাদের শুধু ধানের ক্ষতি হচ্ছে না, আম, লিচু, কলা, পিয়ারা, পেপেসহ সকল ফল এবং গাছের ও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পর বড় না হতেই ভাটার গ্যাসও বিষাক্ত ধোঁয়াতে শুকিয়ে পাকার আগেই ঝরে পরছে। এখানে একই জমির মাঠে ৫/ থেকে ৬ হাজার গজের মধ্যে ৪টি ভাটা হয়েছে। একদিকে মাঠের ধানের জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে ধান পুরছে, ভাটার ট্রাক্টার অবৈধভাবে রাস্তায় চলাচল করে রাস্তা নষ্ট করছে, আমরা বেঁচে থাকবো কিভাবে? সরকারের পক্ষ থেকে অচিরে এসব ইটভাটা বন্ধ করা দরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ