পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় পূনর্বিবেচনা (রিভিউ) শুনানি চলাকালে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের অনেকেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে সমর্থক ছিলেন। একাত্তরের বাস্তবতার মেঘ ৭৫-এর পর বুড়িগঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে হিমালয়ে গড়িয়েছে। গতকাল রোববার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অপর চার বিচারপতি হলেন-বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। আসামী পক্ষের শুনানি শেষ করেছে এরপর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শুরু করেছে আদালত। প্রায় এক ঘণ্টা দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। আজ ফের শুনানি শুরু হবে।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রিভিউ শুনানি শুরু হয়। আদালতে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এস এম শাহজাহান ও তানভীর আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানির শুরুতে আসামির খালাসের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পিরোজপুরে ছিলেন না। তিনি পরিবার নিয়ে যশোরে ছিলেন। সেখানে মসজিদের পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি পরিবারসহ থাকতেন। তিনি একজন প্রফেশনাল বক্তা। ওয়াজ মাহফিল করে তিনি জীবন-ধারণ করেন। এটাই তাঁর পেশা। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই সময় তো বর্ষাকাল ছিল, মে মাস। বর্ষাকালে তিনি কীভাবে ওয়াজ করতেন? মার্চ-এপ্রিল- মে এই তিন মাস ওয়াজ হয় কি-না? তখন খন্দকার মাহবুব হোসেন ফের বলেন, সাঈদী সাহেব প্রফেশনাল বক্তা। তিনি সারা বছরই ওয়াজ করেন। এটা করেই তিনি সংসার চালাতেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শেষ হলে অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম তার বক্তব্য উপস্থাপনা করেন। অ্যাটর্নী জেনারেল বলেন, আমরা ফাাঁসি চাই। তিনি তো কসাই নামে খ্যাত। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্লিজ কসাই বলবেন না। বিচার বিভাগে কোন প্রহসন নয়। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যদিও আমার বলা উচিত নয়, আমার জানামতে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থক ছিল, তাদের পক্ষে অংশ নিয়েছিল, তাদের অনেকেই বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। এরপর আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।গত ৬ এপ্রিল আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়আসে। সাঈদীর আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য ১৪ মে নির্ধারণ করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদন্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর মৃত্যুদন্ডাদেশের সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই রায়ের পর ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রেপক্ষের আবেদনের পাঁচ দিন পর শাস্তি থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।