পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চ‚ড়ান্ত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল কমিশনের সভায় এ রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৩মে কমিশনের আরেক সভায় এটি চ‚ড়ান্ত করা হবে। সভায় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা সংশোধনে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় মৃত ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের করার বিষয়ে কমিশন একমত হয়েছে। গত রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের চতুর্থ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, আজ (গতকাল রোববার) কমিশন সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়নি। ২৩ মে নির্বাচন কমিশনের সভায় চূড়ান্ত করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আগামী বছরের অক্টোবরের শেষার্ধ থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এখনও দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়নি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, সংসদেও মেয়াদ ও অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, রোডম্যাপ চ‚ড়ান্ত হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করতে চায় ইসি। একই সময়ের মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ নির্বাচনী আইন ও বিধি সংশোধনের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইন সংশোধনে প্রয়োজনে এক বা একাধিক কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে।
জানা গেছে, গতকালের কমিশন সভায় পাঁচটি এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের রোডম্যাপ চ‚ড়ান্তকরণ। কমিশন সচিবালয় থেকে ওই সভায় রোডম্যাপ উত্থাপন করা হয়। ওই রোডম্যাপের উপর আলোচনায় অংশ নেন কমিশনাররা। রাজনৈতিক দল, পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি সেপ্টম্বরের আগেই করা যায় কী না- সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া প্রস্তাবিত রোডম্যাপ থেকে নির্বাচনে ভোটারদের ইসির উদ্যোগে ¯িøপ দেয়া এবং নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং করার কমিটির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়ার বিষয়ে বিধান রাখার পক্ষে ইতিবাচক মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা। এছাড়া নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়েও আলোচনা হয়। বিষয়টি মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ি পরিচালনা করার পক্ষে মত দেন অংশগ্রহণকারীরা।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ইভিএম এ করা যাবে কিনা তা আরও পরে বলা যাবে। কারন এটি পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয় আছে। তবে ইভিএম নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এসব দেখে আমার মনে হয়, সবাই এটা গ্রহণ করবে। এটা ত্রæটিমুক্ত হবে। কেউ হ্যাক করতে পারবে না। মেশিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মেশিনের উপর হামলা করা হলেও মেমোরী নষ্ট হবে না। অ্যাকশন প্ল্যানে ইভিএম আছে। এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের মতো সিদ্ধান্ত নেইনি। এটা কমিশন নেবো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পর্যবেক্ষণ নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে একমত হয়েছে কমিশন। প্রস্তাবিত নীতিমালার উপর রাজনৈতিক দল, পর্যবেক্ষক সংস্থা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ যেকোনো নাগরিকের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার পর্যবেক্ষণ নীতিমালার সংশোধনী ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইট বা ডাকযোগে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
মৃত ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের বিষয়ে নতুন আইন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন সভা। তবে এ ধরনের আবেদন পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কমিশনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম গতিশীল করতে চার কমিশনারের নেতৃত্বে পৃথক চারটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হলেও তা কমিশন সভায় চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পর্যবেক্ষণ নীতিমালার প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও পর্যবেক্ষণে বিশেষ শর্ত থাকছে। কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষকদের অবস্থানের উপর নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন এমন লোককে পর্যবেক্ষক হিসাবে মোতায়েন করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে কোনো গুরুতর অনিয়ম দেখতে পেলে তা তাৎক্ষনিক নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষকেরা জানাতে পারবেন- এমন সুযোগও রাখা হয়েছে সংশোধিত নীতিমালায়। পর্যবেক্ষণ নীতিমালার বিষয়ে ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেনন, পর্যবেক্ষণ নীতিমালা সোমবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মতামত দেয়ার জন্য আগামী ২২ মে পর্যন্ত এটি ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।