বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক সময়ের খড়¯ স্রোতা চরচন্ডি নদী দখল করে স্থায়ীভাবে মার্কেট নির্মাণ শুরু করছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল তাহিদ। তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় সরকারি নদী দখল করে মার্কেট নির্মাণ করলেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিনা বাঁধায় নদী দখল করে একের পর এক মার্কেট নির্মাণ করে যাচ্ছেন ওই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।
জানাযায়, চরচন্ডি নদী বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিয়া নদী থেকে শুরু হয়ে মাকুন্দা নদীর সাথে সংযুক্ত। এক সময়ের খড়স্রোতা ওই নদীটি প্রভাবশালীদের দখলে পড়ে বিলীন হতে চলেছে। বাসিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত অংশ থেকে শুরু করে নদীর তীরে নতুন ও পুরাতন হাবড়াবাজার, মাছুখালিবাজার এবং নোয়াগাঁও মার্কেট পর্যন্ত অনেক স্থানে দখল ও ভরাটের ফলে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। আবার অনেকেই নিজ বসত বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরেও ঢুকিয়েছেন নদীর অংশ। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল তাহিদ নোয়াগাঁও মার্কেট নামক বাজারে বিশ্বনাথ- ছালিয়া সড়কের পার্শ্বে সরকারি ১নং খতিয়ানের জে.এল নং ১০১ এবং ২৮৫১,২৮৫২ দাগের নদীর প্রায় অর্ধেক অংশ দখল করে প্রায় ৫০ হাত লম্বা স্থায়ীভাবে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ইতো মধ্যে তার ওই দালানের তৈরী মার্কেট নির্মাণ কাজ ভিটা পর্যন্ত উঠে গেছে। কিন্তু বিষয়টি জানার পরও প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশাসনের নিরব ভূমিকার ফলে আব্দুল তাহিদসহ অন্যান্য দখলদাররা একের পর নদী দখল করে জলাবদ্বতা সৃষ্টি করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ওই নতুন নির্মানাধীন মার্কেটের দক্ষিণে একটি সেতু রয়েছে। আর ওই সেতু ঘেঁসে দক্ষিণ পার্শ্বে আরও একটি স্থায়ী পাকা দালানের দোকান কোঠার কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। এব্যাপারে দশঘর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তফসিলদার অসিত পাল চৌধুরী বলেন- তিনি চরচন্ডি নদী সরেজমিন তদন্ত পূর্বক দখলের বিষয়টি অবগত করে গত ৭ এপ্রিল উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবরে একটি আবেদন করেছেন।
উপজেলা সার্ভেয়ার আব্দুল রকিব বলেন, এবিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশনা পেয়েছি। আজ সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।