Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনে আহত মামা-ভাগিনার আবস্থা সঙ্কটাপন্ন

| প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুরের রামগঞ্জে পুলিশী নির্যাতনে মারাত্বক আহত মামা-ভাগিনা সংকটাপন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদেরকে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাটাখালী নামক স্থানে পুলিশ মো: ইব্রাহিম কারী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাগিনা কাউসারকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং থানায় এনে দুই দফায় বেদম পিটিয়ে আহত করা হয় বলে আহতদের স্বজনরা জানায়। আহত ইব্রাহিম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হোসেন মোঃ রানার ভাই।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সোনাপুর এলাকায় রাত সোয়া ৭ টার দিকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ ও পিএসআই মঈনসহ পুলিশ মাদক বিরোধী চেকপোষ্ট বসায়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহীম ও তার ভাগিনা কাউছার মোটর সাইকেলে ওই রুটে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের থামার জন্য সিগন্যাল দিলেও তারা কর্ণপাত না করে চলে যায়। এসময় ধাওয়া করে কাটাখালিতে গিয়ে তাদেরকে থামায় পুলিশ। সিগন্যালে সাড়া না দিয়ে মোটর সাইকেলে চালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটানো ঘটানো হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলেছে, ঘটনাটি সমাধান হয়ে গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন রানা বলেন, আমার ভাই ও ভাগিনা পুলিশকে পরিচয় দেওয়ার পরও হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্দয়ভাবে দুই দফায় পিটিয়েছে। নির্যাতনে তাদের মুখ, ঠোট, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত হয়েছে। পুলিশ ইব্রাহীমের পকেটে হাত ডুকিয়ে ইয়াবা ডোকানোর চেষ্টা করে। পুলিশের অমানবিক এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী শুক্রবার রাতে থানায় জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান রানার সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের সিনিয়র নেতারা থানার ওসির কক্ষে বৈঠক করে সিনিয়র নেতারা লিখিত দিয়ে তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি থানায় বসে মিমাংসা করা হয়েছে। হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আনা হয়েছে সত্য, তবে মারধর করা হয়নি। কাগজপত্র না থাকায় মোটর সাইকেলটি থানায় রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ