Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাপ্তাইয়ে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

| প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : কাপ্তাই বিশুদ্ব পানির তীব্র সঙ্কট। বিশুদ্ব পানির সন্ধানে মাটি খুড়ে বাহির করার চেষ্টা চলছে। বর্তমান শুষ্ক মৌসুম এলেই দেখা দেয় বিশুদ্ব পানির সঙ্কট। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি একমাত্র কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভর করে চলে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এপ্রিল হতে জুন প্রায় তিন থেকে চার মাস প্রচন্ড খড়াতাপে হ্রদের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় সুপেয়োও পানির সঙ্কট। দুর্গম পাহাড়ী এলাকার বসবাসরত লোকজন পানির অভাবে মাইল হতে মাইল ছুটে চলে। হ্রদ, ঝর্ণা, শুকিয়ে যাওয়ায় দূর্গম পাহাড়ী এলাকার লোকজন গর্ত করে পানি তোলার চেষ্টা করে। হরিন ছড়া এলাকার মংথুই মারমা বলেন, এ মৌসুম এলেই আমরা পানির সঙ্কটে ভুগতে থাকি। আমাদের এলাকায় যে সকল টিউবওয়েল স্থাপন করে হয়েছে তা দীর্ঘ বছর যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ মৌসুমে বিশুদ্ব পানির অভাবে পরিবার পরিজনের অনেক রোগ হয়ে থাকে বলে উল্লেক করেন। কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকার কর্তৃক যে সকল টিউবওয়েল নির্মাণ করা হয়েছে তা বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে মেরামতের কোন বালাই নেই। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বলেন, এ ব্যাপারে বলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে লোকজনের মধ্যে তীব্র পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কাপ্তাই জাকির হোসেন স’ মিল এলাকায় সুইডেন পলিটেকনিকের ছাত্ররা ম্যাসভাড়া করে পড়াশুনা করে থাকে। তাদের পানির একমাত্র বাহন কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদে পানি থাকাকালীন সময় মেশিন দিয়ে পানি ওঠিয়ে ব্যবহার করত বর্তমানে হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে চরম সঙ্কটে ভুগছে তারা। তাই ছাত্ররা কিছুটা পানির পাওয়ার জন্য হ্রদের মধ্যে গর্ত করে পানি ওঠানোর চেষ্টা করছে। সাইফুল আরাফাত নামের কয়েকজন ছাত্র বলেন, পানি না পাওয়ার কারনে ওযু পযন্ত করতে পারি না। তাই চেষ্টা করছি গর্ত খুড়ে মেশিন দিয়ে কিছুটা পানি জদি পাই। এলাকর অভিজ্ঞ মহল মনে করেন প্রতিটি ইউনিয়নে বিশুদ্ব পানির জন্য ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হলে এলাকার লোকজন পানির অভাব হতে কিছুটা হলেও মুক্ত পাবে বলে মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ