বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল ব্যুরো : অর্থাভাবে অচল প্রায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারা বরিশাল সিটি করপোরেশন-এর কাউন্সিলরদের ২২ জনই নিয়মিত তাদের বাড়ী-ঘরের নগর কর না দেওয়ার বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ আয় বৃদ্ধির জন্য বকেয়া হোল্ডিং কর আদায় সহ নতুন করে কর আরোপ কার্যক্রম চলছে নগর ভবনে। এ কার্যক্রমের সভাপতি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু। অথচ তার নিজের বকেয়া কর রয়েছে ২৩ হাজার ১০২ টাকা। হিরুর মতো বিসিসির ২২ কাউন্সিলের কাছে হোল্ডিং কর বাবদ মোট আড়াই লাখ টাকা বকেয়া ছিল বিসিসি’র। তবে বিষয়টি নিয়ে অতিসম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় অনেকেই বকেয়ার আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছেন বলেও জানিয়েছে নগর ভবনের কর কর্মকর্তা। প্রত্যেক কাউন্সিলরের একাধিক হোল্ডিং নম্বরের ওই টাকা বকেয়া পড়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে মেয়র কাউন্সিলরদের বেশীরভাগেরই হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারনই করা হয় অতি সামান্য টাকা।
বিসিসির কর শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করায় কাউন্সিলরদের কর বৃদ্ধি করা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বকেয়া কর আদায়ে প্রথমে চিঠি, পরে আইন অনুযায়ী মালক্রোকের নোটিশ করা হচ্ছে। কাউন্সিলর কিংবা সাধারন নগরবাসী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, দুই নম্বর প্যানেল মেয়র ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশারেফ আলী খান বাদশার তিনটি হোল্ডিং নম্বরে বকেয়া ছিল ১১ হাজার ৫৩ টাকা। একইভাবে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুল হাসান মামুনের ২ হাজার ৭৬৩ টাকা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস মিয়ার ৪ হাজার ৪২১ টাকা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুমের ১৫ হাজার ৮৫ টাকা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের ৪ হাজার ৪৮২ টাকা, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম তালুকদারের ২ হাজার ৭৬৩ টাকা ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহানারা বেগমের ৩ হাজার ৫৬৪ টাকা সহ আরো বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কাছে কম বেশী নগর কর বকেয়া রয়েছে।
পাশাপাশি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুল হকের নামে ৪টি হোল্ডিং নাম্বারে ৬৭ হাজার ৯২৮ টাকা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আকবর হোসেনের নামে দুটি হোল্ডিং নাম্বারে ১৩ হাজার ২৬৪ টাকা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদারের নামে তিনটি হোল্ডিং নাম্বারে ৫০ হাজার ৮৪৫ টাকা, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবিরের ২টি হোল্ডিং নাম্বারে ৯ হাজার ৪০৯ টাকা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী নঈমূল ইসলাম লিটুর নামে তিনটি হোল্ডিং নাম্বারে ৪০ হাজার ৮৪৬ টাকা ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর কামরন্নাহার রোজীর নামে দুটি হোল্ডিং নাম্বারে ৬ হাজার ৬৪৬ টাকা বকেয়া রয়েছে।
এব্যাপারে বিসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামান সাংাদিকদের জানান, অধিকাংশ কাউন্সিলরের কাছেই হোল্ডিং কর বকেয়া ছির এবং আছে। তাদের বকেয়া আদায়ের জন্য চিঠি দিয়ে তাগিদ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।