Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আজ কমিশন সভা ইভিএম নিয়ে ভাবছে ইসি

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : দেশে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন। বিএনপির ২০, আওয়ামী লীগের ১৪ দলের এবং জাতীয় পার্টি গড়েছে ৫৮ দলের জোট। আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কি হবে না তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। এর মধ্যে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রযুক্তিটি নিয়ে ভাবছে। থমকে থাকা ইভিএম প্রযুক্তি আবারো চালু করার বিষয়ে নতুন করে তুলছে কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে কি না তা আজ বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, দেশ যেখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগোচ্ছে তখন নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও ডিজিটাইজড করার দিকে যেতে হবে। আগামীতে এ পদ্ধতি চালু করার চিন্তাভাবনা করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে ইভিএম’র প্রযুক্তিগত দিকগুলো উপস্থাপন করা হবে। কমিশনই এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সচিব বলেন, দেশের ১০ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্য ভান্ডার রয়েছে। এ ডাটাবেজকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও ডিজিটাইজড করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।  তিনি বলেন, কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কি হবে না।
কমিশনের সভায় আলোচনায় থাকছে, ভোটার তালিকা, সীমানা পুনঃনির্ধারণ, আইনী কাঠামো, মনোনয়ন বাণিজ্য, দলের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব, নির্বাচনী বিরোধ, হলফনামা যাচাই/বাছাই, নির্বাচনী ব্যয়ের তথ্য নিরীক্ষণ ও বাছাই, ইউনিয়ন পর্যায়ে হলফনামা, কমিশনে নিয়োগ আইন, সহিংসতা রোধ, নির্বাচনীম ব্যয়সীমা, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন ও বৈদেশিক শাখা, দলভিত্তিক স্থানীয়  নির্বাচন ও সোসাল মিডিয়ার জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়াামী লীগের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ চালুর প্রস্তাব দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রæয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং চালুর পরিকল্পনা বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণাকে দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যায়িত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সে সময় বলেন, জনগণের দৃষ্টিকে অন্যত্র সরানোর জন্য ই-ভোটিং প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি ম্যাজিক। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে আগামী বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। নতুন কমিশন ভোট আয়োজনের যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে, তাতে ডিজিটাল ভোটিং পদ্ধতি হিসেবে ইভিএম নিয়ে প্রস্তুতির জন্যও সময় রাখা হয়েছে। নতুন কমিশন ভোট আয়োজনে তাদের কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করছে। তাতে ডিজিটাল ভোটিং পদ্ধতি হিসেবে ইভিএম নিয়ে প্রস্ততির জন্য সম্ভাব্য সময়সীমাও বণ্টন করছে। ইসি সূত্র জানায়, বুয়েটের সহযোগিতায় ছোট পরিসরে ২০১০ সালে ইভিএম স্থানীয় নির্বাচনে চালু হওয়ার পর তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে দ্ব›দ্ব দেখা দেয় কমিশনের। যার ফলে ২০১৫ সালে এসে তা থকমে যায়। পরে কমিশন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেরাই এটি তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে গত বছর ১৯ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করেছিল বিগত কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় নিজেদের তৈরি ইভিএম নিয়ে কাজ করছে বর্তমান কমিশন।
সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ইনকিলাবকে ইভিএম নিয়ে ইসি নতুন করে উদ্যোগী হলেও জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহারের আগে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আগের কমিশনগুলো ইভিএম নিয়ে কাজ করেছে, তা সমস্যা রয়ে গেছে। ভারতেও বিতর্ক চলছে। এ অবস্থায় নতুন কমিশনকে সতর্কভাবে এগোতে হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কোনো কাজে নতুন ইসি যাতে কোনোভাবেই বিতর্কে না জড়ায় সে দিকেও নজর রাখতে হবে। ছোটখাটো নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম চালু করা যেতে পারে আবার।
সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, আমরা গত কাল বৈঠক করেছি। শুধু তাই নয় অতীতে আমরা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ তথা মূল নির্বাচনী আইনের সংশোধিত খসড়া নির্বাচন কমিশনে পেশকরি। এ সময় সুজন ১৫ প্রস্তবনা তুলে ধরা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ