Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ পবিত্র শবে বরাত

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ আব্দুর রহিম : আজ বৃহস্পতিবার রাত পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র কুরআন হাদীসের অসংখ্য বর্ণনা অনুযায়ী এ রাত মর্যাদাময় রাত। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা পৃথক বাণীতে দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। পবিত্র শবে বরাত যে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ রাত এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। অতীত ও বর্তমান মুফাসসিরীন ও মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ রাতকে এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। কারণ পবিত্র এ রাতের অস্তিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব পবিত্র কুরআন হাদীস দ্বারা বহুল প্রমাণিত শবে বরাতের রাতে মানুষের বার্ষিক ভাগ্যলিপি লেখা হয় এবং বিগত বছরের আমলনামা আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।
এক বছরের হায়াত-মউত-রিজিক দৌলত তথা ভাগ্য নির্ধারণ হয়। এই রাতে আল্লাহ পাক বান্দার দিকে বিশেষ রহমতের নজরে তাকান।  এই রাত্রিতে ৭০ হাজার ফিরিস্তা নিয়ে জিবরাঈল দুনিয়াতে আসেন এবং রহমত বন্টন করেন। আরবের বনী কালব গোত্রের ৩০  হাজার বকরীর পশমের সংখ্যারও অধিক গুনাহগারকে ক্ষমা করা হয় এ রাত্রে। এ রাত্রিতে কবিরা গুনাহ ব্যাতীত অন্যান্য গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং তওবা করলে কবিরা গুনাহগারকেও ক্ষমা করা হয়।
ফলে এ রাতে নফল নামাজ, তিলাওয়াত. যিকির আযকার, দান-খয়রাত, কবর জিয়ারত করা উত্তম। এই রাত্রে আগামী এক বছরের যাবতীয় বিষয়াদি নির্ধারিত হয় এবং শবে কদরে সংশ্লিষ্ট ফেরেস্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই রাত্রে নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শাফায়াতের পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়েছে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র এই রাতটি বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের যথাযোগ্য মর্যাদায় এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে পালন করবে। শবে বরাতের এ পবিত্র রাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, ওয়াজ, জিকির আজকার, কবর জিয়ারত এবং মিলাদ দোয়া ও মোনাজাত।
শবে বরাত উপলক্ষে আগামীকাল সরকারী ছুটি দিন । প্রিন্ট মিডিয়ায় আজ ছুটি থাকবে কাল শনিবার পত্রিকা প্রকাশ হবে না। এ উপলক্ষে বিভিন্œ মিডিয়া বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করবে এবং বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। কিছু ভ্রান্ত মতবাদীরা মিডিয়ায় তাদের বক্তব্য আলোচনা ও লেখনীতে সর্বদা বলে বেড়াচ্ছে যে লাইলাতুল বরাতের বিষয়ে কোন দলীল পত্র কুরআন বা হাদিছ শরীফে নেই। অর্থাৎ শবে বরাতের রাত সম্পর্কে বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযিসহ বিভিন্ন  সহি হাদিছ গ্রন্থে ২০ জন সাহাবায়ে কেরামের বর্ণনায় এ হাদিস বিদ্যমান। এই ২০ জন সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে রয়েছেন হযরত আবু বকর (রা:), হযরত আলী (রা:), মা খাদিজা (রা:), মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) সহ বিশিষ্ট সাহাবাগণ।
অথচ কুরআনুল কারীম এর নির্ভরযোগ্য তাফসীরের ভাষ্য হচ্ছে- তাফসীওে বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রা:) হতে তাফসীওে তাবারী  শরীফের ১০ম খন্ডের ২২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত মধ্য শাবানের রাতে বছরের জন্য সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত চ’ড়ান্ত করা হয়। জীবিত ও মৃতদেও তালিকাও তৈরী করা হয়। এ তালিকা থেকে একজনও কমবেশি হয় না। ”
ইবনুল মুনজির (রা:) ও ইবনু আবি হাতেম(রা:) তাফসীওে রুহুল মায়ানীতে একই বর্ণনা করেছেন। একই ভাবে বিশিষ্ট ৬৫টি তাফসীর গ্রন্থে শবে কদর এবং  ১৪ শাবানের দিবাগত রাত শবে বরাতের কথা গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে।
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.) তদীয় কিতাব মুকাশাফাতুল কুলুব এর ৬৪০ পৃষ্ঠায় ইমাম সুবকীর বরাতে উল্লেখ করেন শবে বরাতের রাতে এবাদত সারা বছরের গুনাহ মাফের জন্য বদলা হয়। একইভাবে  শবে কদরের রাতের এবাদত জিন্দেগীর গুনাহ মাফের বদলা হয়। আর সপ্তাহের গুনাহ মাফের বদলা বা উছিলা হয় প্রতি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের (শুক্রবার রাত) এবাদত বন্দেগী।
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মধ্য শাবানের রাতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে জালওয়া রাখেন, অত:পর তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রæতা পোষণকারী ব্যাক্তিকে ক্ষমা করেন না। এছাড়াও হাদীসটি যেসব গ্রন্থে বর্ণিত আছে ইমাম ইবনে হিব্বান এর “সহীহ ইবনে হিব্বান” এর হাদীস নাম্বার ১৯৮০ , পৃষ্ঠা-৩৫৫, খন্ড-১৩। আহলে হাদীস তথা লা-মাযহাবীদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দিন আলবানীর সিলসিলাতুল আহাািদস আসসাহীতা এর ৩য় ভ. ১৩৫ পৃষ্ঠা, হাদিছ নং-১১৪৪। ইমাম তাবারানী তার বিখ্যাত কিতাব “মু’জামুল কবীর” এর ১৫ খ., ২২১পৃষ্ঠা। ইমাম বায়হাকী “শুয়াবুল ঈমান” এর হাদিস নং ৩৮৩৩। “ফাজায়েলুল আওকাত”-এর হাদীস নং-২২, পৃষ্ঠা-১১৯। “আত তারগীব ওয়াত তারহীব” এর ২য় খ.-২৪১ পৃষ্ঠা। “মাজমাউয যাওয়ায়েদ” এর ৮ম খ.- ৬৫ পৃষ্ঠা। “আল হিলয়াহ” এর ৫ খ.-পৃ-১৯১। “আস সুন্নাহ” এর হাদীস নং-৫১২।
উল্লেখ্য, বায়হাকী শরীফে বর্ণিত হাদিসটি অন্যান্য ওলামায়ে-কেরাম ছাড়াও শবে বরাতের বিরুদ্ধবাদী আলেমগণও সহীহ হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এরপরও যারা শবে বরাতের বিরোধীতা করে তারা রাসূল (স:) ও সাহাবায়ে কেরামদের বিরোধীতা করেন।
শবে বরাত অস্বীকার করা গুমরাহী
বিভিন্ন হাদীস শরীফ ও তাফসির গ্রন্থে বলা হয়েছে শবে বরাত হচ্ছে সিদ্ধান্ত নেয়ার রাত আর শবে কদর হচ্ছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রাত। দুটি রাতের বিষয়, মরতবা ভিন্ন। অথচ গত ২৯শে জুন  দৈনিক যুগান্তওে প্রকাশিত আর্টিকেল ‘শবে ক্বদর’ এর মাহাত্ম্য বর্ণনা প্রসঙ্গে “সুরা দুখান”-এ বর্নিত আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ‘শবে ক্বদর ’ এর মাহাত্ম্য-মর্যাদা  সম্পর্কে সেখানে কোনো বর্ণনাই নেই। বরং ক্বদর রাতের মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে “সুরা ক্বদর ” এর মধ্যে এবং এ সুরায় কুরআন নাযিল হওয়ার বিষয়টি বলা হয়েছে। ‘সুরা ক্বদর ’ এর মধ্যে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ অর্থাৎ ক্বদরের রাত বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। মহান  আল্লাহ পাক এ রাতেই আগামী এক বছর বান্দার হায়াত-মউত, রিযিক দৌলত ইত্যাদি ফায়সালাকৃত  বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেন এবং সেটা পরবর্তী ক্বদর রাতে গিয়ে শেষ হয়। কাজেই, ক্বদর রাত হচ্ছে লাইলাতুত তানফীয বা লাইলাতুল জারী অর্থাৎ কার্য সম্পাদন বা বাস্তবায়নের রাত। এটি লাইলাতুল ফায়সালা বা লাইলাতুল তাজবীয অর্থাৎ কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহনের রাত নয়। আর সিদ্ধান্ত গ্রহনের রাত হচ্ছে লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। এ রাতটিই “সুরা দুখান”-এ বর্ণিত “লাইলাতুম মুবারাকাহ” অর্থাৎ বরকতপূর্ণ রাত্রি আর হাদিস শরীফ-এ বর্ণিত “লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান” অর্থাৎ শা’বানের মধ্য রাত্রি নামে অভিহিত।
শবে বরাতের পরিচিতি ও ফযীলত সম্পর্কে ‘সুরা দুখান ’ এর শুরুতে উল্লেখ রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হা-মীম! কসম, প্রকাশ্য কিতাবের। নিশ্চয়ই আমি বরকতময় এ রাতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয় ফায়সালা করা হয়।” সুবহানাল্লাহ!(সুরা দুখান: আয়াত শরীফ ১-৪)
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফ-এর মশহুর কিতাব “মিশকাত শরীফ”-এ উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.)  থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, হুযুর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উম্মতকে জানানোর উদ্দেশ্যে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা)উনাকে বললেন, “আপনি কি জানেন মধ্য শা’বানের রাতে কি কি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়ে থাকে?”  উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) কি কি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে জানতে চাইলে জওয়াবে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ রাতে আগামী এক বছর কতজন মানুষ (সন্তান) জন্মগ্রহন করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয় এবং কতজন  ইন্তিকাল করবে  সেটাও লিপিবদ্ধ করা হয়। এ রাতে মানুষের আমলসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার  নিকট পেশ করে এবং মানুষের আগামী এক বছরের রিযিক নাযিলের সিদ্ধান্তও গ্রহন করা হয়। অতএব, প্রতিভাত হলো যে, “সূরা দুখান”-এ ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’-ই হচ্ছে শবে বরাত শবে ক্বদর নয়।
চট্টগ্রামে শবেবরাত পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্র আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবেবরাত পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী মসজিদসহ ৪১টি ওয়ার্ডের মসজিদসমূহে মহিমান্বিত এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগীর সুবিধার্থে মসজিদ কমিটি নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। গতকাল বুধবার থেকে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে শবেবরাত পালনে মসজিদে মসজিদে ধোয়া-মোছার কাজ শুরু হয়। এছাড়া প্রতিটি মসজিদে শবেবরাত উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ ও ওয়াজ মাহফিল, জিকির-আজকারের আয়োজন করা হয়েছে। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, বায়তুশ শরফ মসজিদ, শাহ আমানত খান দরগাহ মসজিদ, গরীবুল্লাহ শাহ জামে মসজিদ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, আগ্রাবাদ সিডিএ জামে মসজিদ, চন্দনপুরা জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, হযরত বায়েজিদ বোস্তামী দরগাহ মসজিদসহ সবকটি মসজিদে মুসল্লিরা যাতে সুন্দর পরিবেশে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এ ভাগ্য রজনীর রাতে ছোট ছোট বয়সী শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে ভিড় জমান। তারা শবেবরাতের নফল নামায আদায় শেষে রাত জেগে মসজিদে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। অনেকে রোজা রাখছেন আজ থেকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে গুনাহ মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেন। পাশাপাশি এ পবিত্র রাতে কোরআন তিলাওয়াত করেন। মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করেন। এদিকে শবে বরাতের রাতে পটকা ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ইবাদতের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সিএমপি আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
দক্ষিণাঞ্চলে পবিত্র শবে বরাত পালনে বিভিন্ন কর্মসূচী
বরিশাল ব্যুরো : সারা দেশের সাথে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলেও আজ পবিত্র লাইলাতুল বরাত শবে বরাত পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের  প্রায় সর্বত্রই আজ বাদ মাগরিব মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল সহ ইসলামী জলছার আয়োজন করা হয়েছে। এশা নামাজ পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল শেষে মিলাদ ও দোয়ারও আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন মসজিদে। রাতভর মুসুল্লীয়ানগন মসজিদে নফল এবাদাত ছাড়াও ফরজ বিভিন্ন নামাজের কাজাও আদায় করবেন। রাতভর বরিশাল কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থান সহ দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন গোরস্থানে নিকটজনের কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবনে মুসুল্লিয়ানগন।
শবে বরাত উপলক্ষে দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে। আজ (বৃহস্পতিবার) মাগরিব থেকে শেষ রাতে রহমতের সময় পবিত্র কোরআন তেলায়াত, মিলাদ, জিকির ও বয়ান শেষে ফজরের নামাজ আদায়য়ন্তে ফাতেহা শরিফ ও খতম শরিফ আদায় করা হবে এ দরবার শরিফে। এর পরে পুনরায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব বিশ্ব ওলী হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতের মাধ্যমে শবে বরাতের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটবে এ দরবারে। সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ জাকেরান ও আশেকানবৃন্দ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমবেত হয়ে শবে বরাত উপলক্ষে এবাদত বন্দেগীতে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেক মুসুল্লীবৃন্দ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমবেত হয়েছেন। আজ দিন পেরিয়ে রাতের প্রথমভাগ পর্যন্তই বিশ্ব জাকের মঞ্জিলমুখি জনশ্রোত অব্যাহত থাকবে। সমবেত মুসুল্লীয়ানদের অজু -গোসল ও আহার ছাড়াও রোজাদারগনের জন্য ইফতারিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বরিশালের চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মছজিদে তিন দিনব্যপী ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়েছে গতকাল। বরিশালের মুরুব্বিয়ানে দ্বীন জামে স্টিমারঘাট মসজিদের খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা শরফউদ্দিন বেগ ছাহেবের সভাপতিত্বে এ মাহফিলে দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম সহ মোফাচ্ছেরে কোরআনগন ওয়াজ নসিহত করেন। আজ পবিত্র লাইলাতুল বরাতের রাতে জামে এবাদুল্লাহ মছজিদে এশার নামাজের আগে বিশেষ বয়ান অনুষ্ঠিত হবে। এশা বাদ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির এবং মিলাদ শেষে সকল মুরুব্বিয়ান ও কবরবাশী সহ মোমিন মুসলমানের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ফজরের নামাজের আগেও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
জামে এবাদল্লাহ মছজিদের পক্ষ থেকে খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান বেগ ছাহেব সকল মুমিন মুসলমানকে শবে বরাতের এ কর্মসূচীতে সকলকে দাওয়াত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শবে বরাত

৭ মার্চ, ২০২৩
৭ মার্চ, ২০২৩
২০ মার্চ, ২০২২
২০ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ