পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) এর জন্য বিশেষ বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিশেষ এই বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য সাধারণ পোশাকে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। ওই বাহিনীতে থাকবে ছয় শতাধিক জনবল। আমর্ড ফোর্সেস ব্যাটালিয়ন সদস্যদের সমন্বয়ে এই বাহিনী গঠন করা হবে। ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করবে। বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন একজন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার প্রশাসন) মো. সাব্বির ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি পাঠানো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরো বলেন, তারা কেবল সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে। তবে, কী নামে এই বাহিনী গঠিত হবে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রশিক্ষণসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের কাজে যোগ দেবেন। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এই বাহিনী সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ করবেন। বাহিনীর সদস্যদের আবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের পুরাতন ভবনের (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) পশ্চিম কোনায় ব্যবস্থা করা হতে পারে। বিশেষ এই বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য সাধারণ পোশাকে গত কয়েক মাস সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আদালতের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে এ বিষয়ে তারা একটি ধারণা নিয়েছেন। ২০১৫ সালের শুরুতে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে একটি জাজেস কমিটি গঠন করা হয়। সাত সদস্যের এ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নিকট কিছু প্রস্তাব দেন। পরে সুপিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং তা অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। একই সঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।