বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে ঃ দীর্ঘ ৪ দিনেও নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী রাহাতের গুপ্ত ঘাতকদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে না। কে বা কারা কিভাবে মাত্র ১ দেড় ঘন্টা সময়ের মধ্যে তাকে নরসিংদী থেকে ধরে মাধবদীর আব্দুল্লাহ বাজারে নিয়ে ক্ষুদ্রাস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে তার কোন কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। নিহত রাহাত সরকারের বড় বোন ফারহানা সুমা তার দাখিলকৃত এজাহারে তার স্বামী লাক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা এসএম কাইয়ুম, এসএ টিভি’র সাংবাদিক সজল ও রাজন নামে ৪ জনকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করলেও নিতান্তই ধারনার বশবর্তী হয়ে তাদেরকে আসামী করেছে। তারা বাদীর সন্দিগ্ধ আসামী। মামলার বাদী কোন স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে তাদেরকে আসামী করতে পারেনি।
বাদী ফারহানা সুমা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের ধারনা যে, এজাহার নামীয় আসামীরা তাকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় রাহাত সরকার বাড়ী থেকে বের হয়ে যাবার সময় তার মা তাকে জিজ্ঞাস করে কোথায় যাচ্ছ। প্রত্যুত্তরে রাহাত জানায় রাজনের সাথে যুবলীগের সম্মেলনস্থল নরসিংদী স্টেডিয়ামে যাবো। এ কথা বলেই সে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। একই রাত ১১ টায় তার বড় বোন মামলার বাদী তাকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাস করে কখন বাড়ী ফিরবি। সে জানায় ৫/৭ মিনিট সময়ের মধ্যে বাড়ী ফিরবে। এরপর সারা রাত সে বাড়ী ফিরেনি। রাহাতকে তারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও পায়নি। পরদিন রবিবার ১১ টা ২০ মিনিটে তারা লোকমুখে জানতে পারে যে, নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পড়ে রয়েছে। এ খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে নিহত অজ্ঞাতনামা লাশটিই রাহাত সরকার। অর্থাৎ হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টারও বেশী সময় পর তারা রাহাত সরকারের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এদিকে হত্যা মামলার আসামী এসএস টিভি নরসিংদীর সাংবাদিক সজল জানিয়েছে, ঘটনার তারিখ ও সময়ে সে তার গ্রামের বাড়ী রায়পুরায় ছিল। একই দিন সন্ধ্যা রাত ৭ টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এসএম কাইয়ূমের বাড়ীর সামনে ৭/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করার পর কাইয়ুম নিজ বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে বাড়ীর ভিতর চলে যান। সেদিন সে আর বাড়ীর বাইরে বের হননি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাহাত সরকার হত্যাকান্ডে ৭/৮টি ক্ষুদ্রাস্ত্রের গুলি ব্যবহৃত হয়েছে। রাহাতের মাথা, বুক, পিঠ ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কমবেশী ৮টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার পেট থেকে ১টি গুলি বের করা হয়েছে। গুলিটি হচ্ছে একটি ক্ষুদ্রাস্ত্রের গুলি।
এলাকার জনগন বলছে, রাহাত সরকার এমন একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী ছিলো যে, সে ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করতো। রাহাত সরকার হত্যাকান্ডের পর থেকে নরসিংদীর আন্ডার ওয়ার্ল্ড অনেকটাই শংকিত হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।