পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আতর, টুপি, জায়নামাজ ও তসবি কেনার ধুম দেখা গেছে বাজারে। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে নামাজ আদায় করতে এসব পণ্য কেনায় ব্যস্ত ছিল র্ধম প্রাণ মুসলমানরা। ঈদের আগে ঠিক এই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কয়েকটি মাকের্টে দেখা যায়, আতর ও বিভিন্ন রকমের টুপি কিনছেন ক্রেতারা। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। এসব পণ্য বিক্রির অন্যতম খুচরা বাজার হলো বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট। গুলিস্থান, মিটফোর্ড সুগন্ধি বাজার, নিউ মার্কেট, চক বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় আতর টুপি, জায়নামাজ ও তসবি। দেশি টুপির পাশাপাশি বাহারি নকশা আর আকৃতির বিদেশি টুপিও পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। নকশার সঙ্গে মিল রেখে এসব টুপির চমকপ্রদ সব নাম দিয়েছেন বিক্রেতারা। কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, চীনা টুপি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাকিস্থানি টুপি ১৫০ থেকে ৬০০, ভারতীয় টুপি ২০ থেকে ৬০০ এবং দেশে তৈরি টুপি ১০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্থানি টুপির মধ্যে আসিফ জারদারি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, চিনের ওয়ানি ৫৫০ টাকায়, ভারতের গুজরাটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, সিডনি ৪০০, পাঠান ৪৫০ এবং ছোট পুতির সঙ্গে সোনালি কাজ করা প্রতিটি টুপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া নেটের তৈরি চীনা টুপি ১৫০ টাকা ও তুর্কি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সবচেয়ে বৃহৎ টুপির দোকান বরকতীয় হাউসের স্বত্বাধিকারী শাহ আলম বলেন, আমদের দোকানে ক্রেতারা আসেন বিদেশি উন্নতমানের টুপি কিনতে। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি টুপি হচ্ছে মালয়েশিয়ান মাহাথির টুপি। যার দাম পড়বে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা।
রাজধানীর আতরের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ১০০ মিলিলিটারের সুলতান এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, আলফারেজ দুই হাজার টাকা, লর্ড আতর এক হাজার ২০০ টাকা, সিলভার এক হাজার ৮০০ টাকা, ওপেন এক হাজার ৫০০ টাকা, ইগুবস এক হাজার ৬০০ টাকা, বস এক হাজার ৫০০ টাকা এবং ম্যাডার রোজ ব্র্যান্ডের আতর এক হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি শিশি সৌদির রয়্যাল ম্যারেজ ৫০ টাকা, ওয়ান ম্যান শো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাফসাফা ২০০, দুবাইয়ের সুলতান ২২০ টাকা ভারতের কোবরা ২৫০ টাকা, বোম্বে দরবার ৩০০ টাকা, নূর ৩০০ টাকা এবং ইরানি গাউজ আতর ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় আতর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০০ টাকায়। এর মধ্যে দরবার–কাঁচা ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মদিনা ৪০ এবং জান্নাতুল ফেরদাউস ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।