Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরার বাঁশগাড়ীরচরে বন্দুকযুদ্ধ

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দখল উদ্ধারে তৎপরতা সিরাজ বাহিনী হারানোর আশংকায় সাহেদ লাঠিয়াল
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে ঃ রায়পুরার বাঁশগাড়ীরচরে গত ৩২ ঘন্টায় নতুন করে কোন বন্দুক যুদ্ধের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। দুই আওয়ামী লীগ নেতার দুই লাঠিয়াল বাহিনী যার যার নিরাপদ দূরত্বে উৎপেতে বসে রয়েছে। যে কোন সময়ই বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছে শান্তিপ্রিয় জনগন। পরবর্তী হামলা তথা এলাকার দখল হারানোর আশংকায় আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদ সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর শত শত লাঠিয়াল বন্দুক ককটেল ও টেটা সজ্জিত হয়ে বাঁশগাড়ীর মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহাড়া দিচ্ছে। সায়দাবাদ সড়ক পথে সম্ভাব্য আক্রমন ঠেকানোর জন্য লাঠিয়ালরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে পাহাড়া দিচ্ছে। পক্ষান্তরে গত সোমবারের হামলায় বিফল হলেও পরবর্তী হামলার প্রস্তুতি নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হকের লাঠিয়াল বাহিনী। প্রাপ্ত তথ্য মতে উভয় পক্ষের লাঠিয়ালরা রনসাজে সজ্জিত হয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে গত সোমবারের হামলায় সাহেদ সরকারের সমর্থক জয়নাল ও আরশ আলী নিহত হবার ঘটনায় সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালরা উত্তেজিত হয়ে গত সোমবার রাতে কয়েকটি গ্রামে ব্যাপকভাবে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের সমর্থকদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্মীভূত করে দিয়েছে। অবাধে চালাচ্ছে চাঁদাবাজী। লাঠিয়ালরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এই অবস্থায় গ্রামের সাধারণ মানুষ জান ও মালের নিরাপত্তা হারিয়ে সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। লুটপাটের আশংকায় অনেক পরিবারের লোকজন তাদের গরু বাছুর, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, ধান, চাল ইত্যাদি জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

বাঁশগাড়ীর ৫/৭টি গ্রামে বাড়ী পাহাড়া দেয়ার লোকজন ছাড়া আর কোন লোকজন নেই। প্রাণের ভয়ে মানুষ গ্রামগুলো ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, বাঁশগাড়ীর পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। সেখানে এএসপি সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ওসি নিজে সহ বহুসংখ্যক মোতায়েন রয়েছে। গত সোমবার বিকেল ৪ টার পর থেকে পুলিশ উভয় পক্ষের লাঠিয়ালদের ধাওয়া করে এলাকা কব্জা করে নিয়েছে। জোড়া খুনের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। লাশ দাফন শেষে মামলা দায়ের করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় নিহত জয়নালের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিহত আরশ আলীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করার পর তারা লাশ নিয়ে এলাকায় পৌছেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশের দাফন প্রক্রিয়া চলছিল।
চাঁদপুরে বজ্রপাতে মা-ছেলে নিহত : আহত ৩
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মা ও ছেলে নিহত হয়েছে। একই সাথে ঐ বাড়ির ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড গোয়াল নগর প্রধানীয়া বাড়ি ও ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর বলশাহি, ঢালী কান্দি গ্রামের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ঢালী কান্দি গ্রামের দুলাল সরদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০) ও তার ছেলে ইয়াসিন সরদার (১৫)। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন নিহত সেলিনা বেগম বাড়ির পুকুরে হাত মুখ ধুয়ে তার ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে তিনি ঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তাদের গায়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন তাদের মা, ছেলে দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে ওই ইউনিয়নের গোয়াল নগর গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে একই সময় আহতরা বাড়ির আঙ্গিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। এতে তারা তিনজন আহত হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ