Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধান আসামী ছাত্রলীগ নেতা কাইয়ুম

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নরসিংদীর কুখ্যাত কিলার রাহাত সরকার হত্যাকান্ডে মামলা
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত শনিবার রাতে মাধবদীর আব্দুল্লাহ বাজার এলাকায় গুপ্তঘাতকদের হাতে নিহত রাহাত সরকার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ৩ দিন পর গত সোমবার রাত আড়াইটায় নিহত রাহাতের বড় বোন ফারহানা সুমা বাদী হয়ে ৪ জনকে নামে এবং বেনামে আরো ৫ জনকে আসামী করে মাধবদী থানায় এই মামলা দায়ের করেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক জিএস এসএম কাইয়ুমকে। অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে, রাজন, সজল ও লাক মিয়া। এছাড়া বেনামে আরো ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা এসএম কাইয়ুমকে আসামী করার কারণে মামলাটি একটি রাজনৈতিক মামলায় পরিনত হয়েছে। হত্যাকান্ডের পূর্বে নিহত রাহাত সরকার নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবী করে অপর একজন ছাত্রলীগ নেতার ছবি সংবলিত পোস্টারে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালায়। এই প্রচারনায় প্রচুর সংখ্যক পোস্টার ও ফেস্টুন ছেপে সারা শহরে সেটে দেয়। জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে নিহত রাহাত সরকার কয়েকদিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে বলে দাবী করেছে তার পরিবারের লোকজন। যুবলীগের সম্মেলনের দিন নরসিংদী স্টেডিয়ামে গিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন রাহাত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে উচ্চস্বরে এসএম কাইয়ূমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে। এরপরই এসএম কাইয়ূমকে আসামী করার গুঞ্জন উঠে। গত সোমবার রাতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে এই গুঞ্জন সত্যে পরিনত হয়।
উল্লেখ্য যে, ঠান্ডা মাথার খুনী হিসেবে পরিচিত নরসিংদীর কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাহাত সরকারের বিরুদ্ধে নরসিংদী থানাসহ বিভিন্ন স্থানে ১০/১২টি খুন, ডাকাতি, রাহাজানী, অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী এবং ধর্ষণের মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার রাতে গুপ্ত ঘাতকরা তাকে মাধবদী থানার গনেরগাও আব্দুল্লাহ বাজারের নিকট গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনা ক্রমে এলাকার লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৮টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। পরদিন রবিবার বেলা ১১ টায় লোকমুখে খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন হাসপাতাল মর্গে গিয়ে রাহাত সরকারের লাশ সনাক্ত করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ