Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উদ্দীপ্ত তরুণ এমপিরা

ঈদের পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এরই ভিত্তিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রী হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। সর্বশেষ দলের সংসদীয় কমিটির সভায় তিনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন। মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে যারা নিজেদের পারফরম্যান্স ভাল নয় মনে করছেন তাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা শুরু হয়েছে। তারা পরিচিতজনদের দেখা হলেই জানতে চাচ্ছেন তিনি থাকবেন কিনা? আবার চেয়ার ধরে রাখার চেষ্টায় কেউ কেউ তদ্বিরও চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তরুণ এমপিদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে উৎসাহ উদ্দীপনা।

পঞ্চায়েত হাবিব : দীর্ঘদিন থেকেই মন্ত্রিসভায় রদবদল ও নতুন কিছু মুখ যুক্ত হওয়ার গুঞ্জন চলছিল। মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এবং ওবায়দুল কাদেরের ‘যে কোনো সময় মন্ত্রিসভায় রদবদল’ বক্তব্যের পর এ নিয়ে সর্বত্রই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। দলের কিছু তরুণ এমপি বিশেষ করে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা তরুণের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। তারা মনে করছেন আগামী নির্বাচনের আগে পরিচ্ছন্ন ওই তরুণ নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় সাফল্যের ভিত্তি মজবুত করতেই মন্ত্রিসভায় অন্তভূক্ত করা হতে পারে। আর যারা বিতর্কিত হয়েছেন এবং পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি তাদের সরিয়ে দেয়া হতে পারে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে কৌশলগত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতারা জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক যে কথা বলেছেন তা ভেবে চিন্তেই বলেছেন। এ নিয়ে তরুণদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং দলীয় এমপিদের গত ৩ বছরের আমলনামা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ল্যাপটপে। এমপিদের পারফরম্যান্স দেখে যেমন আগামী নির্বাচনে নমিনেশন দেয়ার ইংগিত দেয়া হয়েছে। তেমনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে দফতর পুনঃবণ্টনের কথা ভাবছেন সরকার। গত সোমবার পরিস্কার করা হয়েছে সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। যারা মন্ত্রণালয়ে ভাল কাজ করছেন তারা থাকবেন আর যারা সাফল্য দেখাতে পারেননি এবং বিতর্কিত হয়েছেন তারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন। কারণ এসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের বিভিন্ন কার্যক্রম বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তাই তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ বা রদবদল করা হতে পারে। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীরা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী কোনোটাই নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের এ চিন্তা শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক। তাদের মতে দল আর সরকার একাকার হয়ে গেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনেরা। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও সরকারের কাজ পৃথক করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। এতে দল সুসংগঠিত হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কাজও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। আর দলের নেতারা উজ্জীবিত হবেন এবং আগামী নির্বাচনে নিজেদের প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন। যাদের আগামীতে নির্বাচিত হয়ে আসার সম্ভাবনা নেই তাদের আগেই বিদায় করাই স্বেয়। এ রদবদলে বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার অন্তর্ভুক্তি হতে পারে নতুন মুখও। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। সংবিধান অনুযায়ী তিনিই এ ব্যাপারে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
জানা গেছে, পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেনকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় এ প্রমঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন। দুর্নীতি ইস্যুতে মন্ত্রিসভা থেকে আবুল হোসেনের পদত্যাগের সময় তাকে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিচ্ছন্ন’ নেতা হিসেবে অবিহিত করেন। নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনী প্রস্তুতিই অংশ হিসেবেই টানা দ্বিতীয় মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে এসে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাদের মূল্যায়নের বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। সরকারের ৮ বছরে সরকারের দায়িত্বের কিছুই পাননি- আওয়ামী লীগের এমন নেতাদের মন্ত্রিসভায় নতুন অন্তর্ভুক্তির সময় দেখা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ল্যাপটপে থাকা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের গত ৩ বছরের আমলনামা দেখেই এ পরিবর্তন হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেছেন। এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রণালয় একাধিকবার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এরই ভিত্তিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মন্ত্রী থাকার সময় সংগঠনের  নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ দলের সংসদীয় কমিটির সভায় তিনি এ ব্যাপারে মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন। সুত্র জানায়, মন্ত্রি প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে যারা নিজেদের পারফরম্যান্স ভাল নয় মনে করছেন তাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা শুরু হয়েছে। তারা পরিচিতজনদের দেখা হলেই জানতে চাচ্ছেন তিনি থাকবেন কিনা? আবার চেয়ার ধরে রাখার চেষ্টায় কেউ কেউ তদ্বিরও চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যদের বেরিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে এবং তারা সরে গেলে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসছে কিনা? এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেবিনেটের রিসাফল (মন্ত্রিসভার রদবদল) তো হয়ই। হয়তো একটা হবে, অনেক দিন হয়ে গেছে। সেখানে কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না- এটি একান্তভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এটি আমরা কেউ জানি না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পরপরই বা আগস্টের মাঝামাঝি মন্ত্রিসভায়  রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শিগগিরই কি মন্ত্রিসভায় রদবদল আসছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আই ডোন্ট নো এক্সাক্টলি। সেটি আমি জানি না। যখন হবে- চাঁদ উঠলে সবাই দেখবে।
 খোঁজ নিয়ে জাান গেছে, মন্ত্রিসভায় রদবদল বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। কারা মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন এবং কারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ ও প্রভাবশালী নেতা জানান, মন্ত্রিসভায় রদবদল গত বছর শেষের দিকে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে অনেক নেতা যারা মন্ত্রিসভা থেকে ছিঁটকে পড়েছেন। অনেকে সফল হয়েছেন। বেশ কয়েকজন নেতা দলীয় ইমেজ ফিরিয়ে এনেছেন। দেশের সর্বচ্চো আদালতে অভিযুক্ত হয়েছেন এমন ৩ জন নেতা মন্ত্রিত্¦ করছেন। এখন দেশের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় দ্রæত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হবে। তবে বিতর্কিত নেতাদের বা মন্ত্রীদের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের থিংকট্যাঙ্ক খ্যাত সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য জানান, মন্ত্রিসভায় রদবদল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আগে যারা মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়েছিলেন তাদের অনেকেই দলীয় প্রধানের কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বেশ কয়েকজন নেতা ইমেজ ফিরিয়ে এনেছেন। এখন দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় শিগগিরই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেই শীর্ষ নেতা বলেন, মন্ত্রিত্ব প্রত্যাশী নেতারা এখন ঘন ঘন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন। আবার অনেকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও পরামর্শ করছেন। অন্যদিকে অতীত কর্মকান্ডে যাদের ওপর নেত্রী অসন্তুষ্ট তারা নিজেদের ইমেজ বৃদ্ধির জন্যও দলীয় নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নিজেদের ইমেজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। যাতে করে নেত্রীর নেক নজরে আসতে পারেন।
 ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।  প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর ১২ জানুয়ারি শপথ নেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৯ মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী। এরপর ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধি পায়। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভার স¤প্রসারণ করা হয়। মন্ত্রিসভার স¤প্রসারণের দু’দিন পর দফতরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়া এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আর কোনো রদবদল বা অন্তর্ভুক্তির ঘটনা ঘটেনি। যদিও গত বছর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পরপরই মন্ত্রিসভার রদবদল ও অন্তর্ভুক্তির গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। ইতিমধ্যে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাদের কর্মকান্ডের জন্য নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। এর মধ্যে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির নেতা। ৫৮ দলের সমন্বয়ে জোট গঠনের পর এরশাদ নিজেই জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাচ্ছে। আবার ওবায়দুল কাদের সমাবেশে বলেছেন, জাতীয় পার্টি সরকারে থাকবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মন্ত্রিসভা রদবদল প্রধানমন্ত্রীর ইখতিয়ার। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে। তবে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তবের পর আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় তরুণ এমপিদের মধ্যে উৎস্বাহ উদ্দীপনার যে সৃষ্টি হয়েছে সেটা বোঝা যায়।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ১০ মে, ২০১৭, ১০:৫৭ এএম says : 0
    তরুণরা দেশের উন্নয়নের প্রতিক। রাজনীতিসহ সকলক্ষেত্রে তরুণরা আগায়ে আসলে, দেশ অবশ্যই উন্নয়ন হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সন্মানের সহিত প্রবিণদের উপদেশ ও পরামশ গ্রহন করতে হবে। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এমপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ