Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমন কাজ করতে চাই যখন মেয়র থাকব না, মানুষ যেন মিস করে- মেয়র আনিসুল হক

| প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, যখন মেয়র থাকব না, মানুষ যেন বলেন মেয়রকে খুব মিস করছি, এমনটাই কামনা করি। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর গৈদারটেক-মনসুরাবাদ সংযোগ সড়ক এবং ব্রিজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তাঁর মনের এ বাসনার কথা উল্লেখ করেন।
ডিএনসিসি’র প্রকৌশল বিভাগ ৯ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১৯ টাকা ব্যয়ে ৩১৫ দশমিক ২ মিটার সংযোগ সড়কসহ ৪৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণ ব্যয়ের শতকরা ১০ ভাগ ডিএনসিসি বহন করে অবশিষ্ট শতকরা ৯০ ভাগ সরকারি অনুদান। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আরও বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিদের জোরালো সমর্থন থাকায় আমরা দ্রæত কাজ করতে পারছি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত, এলইডি সড়কবাতি এবং ৫ হাজার ২০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হবে। এরপর আপনার নিজের এলাকা নিজে চিনতেও কষ্ট হবে। আমাদের উপর ভরসা রাখুন।
বিভিন্ন দূতাবাসের সামনের ফুটপাত উন্মুক্তকরার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, একটি রাজনৈতিক শক্তির বলেই অনেক দৃঢ় অবস্থানে থেকে আমরা ফুটপাত এবং রাস্তা জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি। দেশের আইনে বলা আছে, শহরের রাস্তা দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে দিতে হবে। আমরা তাদেরকে সে অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছি। এরই মধ্যে রাশিয়া দূতাবাসের সামনের রাস্তা থেকে ২৮৬টি এবং ইতালি দূতাবাসের সামনের রাস্তা থেকে ২৫০টি কংক্রিট প্লান্টার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর ফলে মানুষ এখন এসব দূতাবাসের সামনের ফুটপাত দিয়ে চলতে শুরু করেছেন। নগরীর অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে মেয়র বলেন, গুলশান, বনানী এবং বারিধারায় আন্তর্জাতিক মানের রাস্তা আমরা নির্মাণ করেছি। এমন ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে যার উপর দিয়ে একজন অন্ধ ব্যক্তিও হেঁটে যেতে পারবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, মিরপুর এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৩০৬টি রাস্তার উন্নয়ন কাজের দরপত্র ইতোমধ্যেই স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে। অনেক রাস্তা বড় হয়েছে এবং আরও অনেক রাস্তা বড় হচ্ছে। আমরা কোথাও এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দিচ্ছি না।
ঢাকা ১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অনেক দুঃসাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে মেয়র বহুকালের আবর্জনা সরিয়ে ঢাকা শহরকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তৈরি করছেন। তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড, গাবতলী এবং মোহাম্মদপুরের অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করে তিনি তার সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। জনগণ তাঁর পাশে আছে।
ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আসলামুল হক বলেন, বিগত ৪০ বছরে অনেক অঙ্গীকার সত্তে¡ও এ ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে ব্রিজটিকে বাস্তবে রূপ দিল।
ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অঞ্চল ৪ এর নির্বাহী কর্মকর্তা গুল্লাল সিংহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র এবং সংসদ সদস্যদ্বয় একত্রে ব্রিজের নামফলক উন্মোচন করেন। এসময় তাঁরা কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ