Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিদ্যুতের অভাবে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত

| প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : বিদ্যুতের অভাবে বেনাপোল বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে মারত্মকভাবে। অবকাঠামো উন্নয়নে নানা কাজ শুরু হলেও বিদ্যুত সমস্যা এখন প্রকট। স্থলবন্দর বিদ্যুত সমস্যার কারনে বন্দরের কার্যক্রম চলছে জেনারেটরে ভর করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বন্দর সরকারের বড় অংকের রাজস্ব যোগানদাতা হলেও এখানকার অবকাঠামো পরিস্থিতি উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কারো তেমন নজরদারি নেই। ফলে শুরু থেকেই ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি ভোগ করতে হচ্ছে। আর বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দর এলাকায় ২৪ ঘন্টা যাতে বিদ্যুত সরবরাহ থাকে এনিয়ে কাজ চলছে।
বন্দরে দিনের অধিকাংশ সময় এখানে বিদ্যুৎ থাকেনা। আর ঝড় বৃষ্টি হলে কমপক্ষে দুই দিন বিদ্যুতের দেখা মেলে না। তাই সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রেখেছে জেনারেটর। বন্দর এর পাশাপাশি কাস্টমস চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন,পর্যটন করপোরেশন,ব্যাংক,বিমা সব খানেই দেখা যায় জেনারেটরের লাইন সংযোগে অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এসব জেনেরেটর কম ক্ষমতা সম্পূর্ন হওয়ায় ভারী যন্ত্রের মেশিনগুলো ভালোভাবে চলছে না। মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পন্য খালাশ কাজে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি দু দেশের ব্যবসায়ীদের। কিন্তু সার্বক্ষনিক বিদ্যুত সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে বাণিজ্য।
ইনডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কামার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ার‌্যমান মতিয়ার রহমান জানান, শুরু থেকেই বন্দরের অবকাঠামোর বেহাল দশা। বন্দর এলাকায় আমদানি-রফতানি বানিজ্যের সাথে সম্পক্ত সরকারি-বেসরকারি প্রায় তিন হাজার প্রতষ্ঠান রয়েছে যেখানে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হচ্ছে। যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে সরকারের।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানি রফতানিকৃত পন্য থেকে সরকার যে রাজস্ব পায় এর রাজস্ব টাকা জমা হয় এই ব্যাংকে। সারাদিন জেনারেটরের লাইনে কাজে মারাত্মক ভোগান্তি হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার এহসানুল হক জানান, কাস্টমস এর সব কাজই বিদ্যুত নির্ভর। কাস্টমস হাউজে বিকল্প ব্যবস্থা জেনারেটর আছে কিন্তু জেনারেটর তো দীর্ঘক্ষন চলানো সম্ভব নয়। এখানে বাণিজ্যের স্বার্থে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা থাকা খুবই প্রয়োজন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক(ট্রাফিক) আব্দুর রউফ জানান, বন্দরে ২৪ ঘন্টা পণ্য খালাস ও অফিষিয়াল কাজ কর্ম হয়। বিশেষ করে রাতে বিদ্যুত না থাকলে পণ্য খালাসে মারাত্বক ঝুকি দেখা দেয়। বন্দরে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত ব্যবস্থা খুব জরুরী যদিও জেনারেটর দিয়ে রাতে কাজ করা হয়।
শার্শা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম মনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৩৬ কিলোমিটার দুরে যশোর থেকে বিদ্যুতের লাইন এনে বেনাপোল বন্দর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। ঝড়,বষ্টিতে তারের উপর গাছ পড়ে গেলে তখন বিদ্যুত লাইন বন্ধ রাখা হয়। যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের নাভরনে বিদ্যুতের গ্রীড সাব স্টেশন বসানো হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ