স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, হার্টের রিং’র নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির পথ সুগম করুণ। পর্যায়ক্রমে চোখের লেন্সসহ বিভিন্ন মেডিকেল ডিভাইস সংযোজনের ক্ষেত্রেও সরকার মূল্য নির্ধারণ করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সিংহভাগ মানুষ দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত। জনগণের সরকার হিসাবে এই বিশাল জনগোষ্টীর সাধ্যের মধ্যে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। জনগণের স্বার্থেই সবাইকে এই উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের মিলন হলে অঙ্গঁ প্রতিস্থাপন এর বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন। সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যাানটেশন বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
দেশের ব্যয়বহুল বড় হাসপাতালগুলোতে গরীব রোগীর ডায়াগনস্টিক ও চিকিৎসা ব্যয় সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য পুনরায় আহŸান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দরিদ্রদের জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ করলে তারা আধুনিক চিকিৎসার আওতায় চলে আসবে। একটি হাসপাতাল যদি ১১শ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা দিতে পারে তবে অন্যদেরও তা পারা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময় দেশের স্বাস্থ্য সেবায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে তাও বিশ^ নেতৃবৃন্দ অকপটে স্বীকার করেন। আমাদের দেশ থেকে এখন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক কমে এসেছে, বরং বিদেশ থেকেও ইদানীং বংলাদেশে অনেক রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে। যারা বলে এদেশের মানুষ মানসম্মত চিকিৎসা পায় না তারা প্রকৃত সত্য জানেন না। এক্ষেত্রে চিকিৎসক সমাজকে আরো আন্তরিক, মানবিক ও নিষ্ঠাবান হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ নাসিম আহŸান জানিয়ে বলেন, ডাক্তারদেরকে কর্মস্থ¬েল থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করতে বিএমএ ও স্বাচিপকে দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলোকে বিভাগ অনুযায়ী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়য়ের অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিভাগের মেডিকেল কলেজগুলোকে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হবে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের কলেজগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের আওতায় চলে আসবে। এর ফলে কলেজ পরিচালনার কাজ আরো স্বচ্ছ ও সহজতর হবে। সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউর ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাচিপ সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, ভারতের বিখ্যাত অঙ্গঁ সংযোজন বিশেষজ্ঞ ডা. সুনীল শ্রফ বক্তব্য রাখেন।