বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের মৃত্যুদন্ডের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের রায় যে কোনো দিন। গতকাল রোববার ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহুরুল হক জহির। ঐশীর পক্ষে ছিলেন সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। পরে জহুরুল হক জহির সাংবাদিকদের বলেন, মোট ১৩ কার্যদিবস শুনানি হয়েছে। এখন যে কোনো দিন রায় হতে পারে।
রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট এসবি কর্মকর্তা মাহফুজ ও তার স্ত্রী স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান পরদিন পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। পরদিনই নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে নিজেই খুন করার কথা স্বীকার করেন। ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। ঐশীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার পাশাপাশি হত্যায় সহায়তার দায়ে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হত্যাকান্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ঘটনার সময় আসামি ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নৃশংস হত্যাকান্ড বিবেচনায় ঐশীকে ফাঁসির দন্ড দেয়া হয়েছে। ওই বছর ডিসেম্বরে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন ঐশী। এরপর চলতিবছর ১২ মার্চ ওপর শুনানি শুরু হয়। রিট আবেদন করার পর হাইকোর্টের দুই বিচারক গত ১০ এপ্রিল ওই তরুণীর বক্তব্য শোনেন। এ মামলায় ঐশীদের অপ্রাপ্তবয়স্ক গৃহকর্মীকেও আসামি করা হয়। তার বিচার কিশোর আদালতে চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।