Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শেখ হাসিনার বড় কষ্ট দশ বছরেও বিএনপি ভাঙল না মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে ভাংতে না পারাই শেখ হাসিনার বড় কষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তার (শেখ হাসিনা) এতটাই কষ্ট যে গত দশ বছর ধরে এতো নির্যাতন, অত্যাচার করলাম তার পরেও বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগে যোগ দিলো না। বিএনপি ভাংলো না। নতুন আত্মপ্রকাশ পাওয়া ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট-এর ২টি ছাড়া সবগুলোই এইচ এম এরশাদের তৈরি বলে দাবি করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার বিকালে মহানগর দক্ষিন বিএনপির এক কর্মী সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুনলাম যে, তখাকথিত সেই গৃহপালিত বিরোধী দল, তারা জোট গঠন করেছে একটা। নতুন  জোট, ৫৯ টি দলের জোট। এর মধ্যে মাত্র দুইটা দল নাকী নিবন্ধিত আর বাকী সব তার (এরশাদ) তৈরি করা।
যারা নিজেরা বিরোধী, যারা আজকে তিন তিনজনকে পাঠিয়েছে মন্ত্রিত্ব করার জন্যে। তিনি (এরশাদ) নিজে সরকারের বিশেষ দূত হয়েছেন। তারা আবার সরকারের বিরোধিতা করবেন, জোট তৈরি করেছেন মহাজোটের মধ্যে থেকে। জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটেই মধ্যে আছে।
এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে তারা মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসবেন কি আসবেন না। তারপরে জানে  বেরিয়ে আসলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
সকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের  নেতৃত্বে ‘ইসলামী মূল্যবোধে’ নতুন এক জোট আত্মপ্রকাশ ঘটে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’।
জোটে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল ইসলামিক ফ্রন্ট, মাস খানেক আগে ৩৪ টি ইসলামপন্থি সংগঠনকে নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় ইসলামী মহাজোট এবং ২০১৫ সালে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে পরে তাকেই অব্যাহিত দেয়া ৩১ সংগঠনের ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোটে রয়েছে, এরশাদের এ নতুন জোটে।
রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির (মহানগর নাট্যমঞ্চ) মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিনের এই কর্মী সভা হয়। কর্মী সভায় শুরু হয় দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে শেষ হয় ৩টা ৪৫ মিনিটে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কর্মী সভা ছিলো আজ (রোববার) দুপুর ২টায় যেটা ৭-৮ টায় শেষ হতো। সকাল বেলা দক্ষিন সিটি করপোরেশন বলেছে, দুপুর একটার মধ্যে কর্মী সভা  শেষ করতে হবে। এটা অর্থ কী? তারা কর্মী সভা করতে দেবে না। এটাই না। ৫১ জন নেতা সারা দেশে আমাদের কর্মী ভাইদের সাথে কথা বলবার জন্য যাচ্ছেন। আমরা দেখি, চট্টগ্রাম, ঝিনাদহে, কালকে (শনিবার) মাদারীপুরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাদের সভা ভেঙ্গে দিয়েছে। আজকে (রোববার) নড়াইল ও কুষ্টিয়ায় কর্মী করার কথা ছিলো, সেই কর্মী সভা করতে দেয়নি। এই সব থেকে প্রমাণিত হয়, এই সরকার বিএনপিকে ভয় পায়, বিএনপির ছোট-খাটো ঘরোয়া কর্মী সভাও করতে দিতে চায় না।
মহানগর দক্ষিণের নতুন নেতৃত্ব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে জোরদারে আরো সংঘবদ্ধ হবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, নতুন-পুরাতন-নবীন-প্রবীনদের মিশ্রনে যে নেতৃত্ব এসেছে, আবার ঢাকার গণতন্ত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। আমাদের দলের পরিসর আরো বাড়তে হবে। নতুন নতুন কর্মী নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মহল্লায় মহল্লায় সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। এই কর্মী সভায় দক্ষিন মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্ব করেন।



 

Show all comments
  • রফিক ৮ মে, ২০১৭, ১১:৪৩ এএম says : 0
    কথাটা একদম মিথ্যা বলেন নাই !
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Islam ৮ মে, ২০১৭, ১২:৪৫ পিএম says : 0
    In sha Allah,,, vangbe o na
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১০ মে, ২০১৭, ৭:৫৮ পিএম says : 0
    জিয়ার আদর্শে যারা প্রতিষ্ঠিত, সত্যিকারের দেশ-প্রেমে যারা উদ্বুদ্ধ, দেশ ও জাতির কল্যানে যারা নিবেদিত প্রান তাদের মাঝে ভাঙ্গনের কোন প্রশ্নই আসে না।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১০ মে, ২০১৭, ৮:০৪ পিএম says : 0
    জিয়ার আদর্শে যারা প্রতিষ্ঠিত, সত্যিকারের দেশ-প্রেমে যারা উদ্বুদ্ধ, দেশ ও জাতির কল্যানে যারা নিবেদিত প্রান তাদের মাঝে ভাঙ্গন ধরানোর প্রচেষ্টা আর ভূতের পায়ে তেল মালিশ করা একই কথা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ