Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনলাইনে এইচএসসিতে ভর্তি শুরু ৯ মে ভর্তি শেষে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে

যশোর বোর্ডের কলেজে এবার লক্ষাধিক আসন শূন্য থাকবে

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক ও আশরাফুল ইসলাম নূর খুলনা থেকে : চলতি শিক্ষাবর্ষে যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের কলেজগুলোতে লক্ষাধিক আসন শূন্য থাকবে। গ্রামাঞ্চলের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর অভাব বেশি হবে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা গতকাল রবিবার জারি করেছে মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আগামী ৯ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত্ব, এবার এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৫জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। যারমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৬০জন। আর বোর্ডের শীর্ষস্থান দখলকারী খুলনা জেলায় ২১ হাজার ২৮০জন উত্তীর্ণ হয়েছে। যশোর বোর্ডের অধীনে ৫৫৫ কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ ৪০টি। বাকি ৫১৫টি বেসরকারি কলেজ। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, কলেজগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৪ হাজার ৫০০, মানবিক বিভাগে ৮২ হাজার ২৫০ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৮৩ হাজার ২৫০ আসন বরাদ্দ রয়েছে। মোট দুই লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ আছে। কোন কলেজ বরাদ্দের বেশি চাইলেও দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, যশোর বোর্ডে এবার এসএসসিতে এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৫জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এরমধ্যে শতকরা ১০ ভাগ ছাত্রছাত্রী ঝরে যাবে অথবা পলিটেকনিকে ভর্তি হবে। যদি ঝরে নাও পড়ে তবুও এক লাখ ৭ হাজার পাঁচটি আসন শুণ্য থাকবে।
বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলের কলেজগুলোতে ৩/৪জন ছাত্র বিজ্ঞানে ভর্তি হয়। বাণিজ্য বিভাগে ছাত্রছাত্রী বেশি ভর্তি হয়। গ্রামের কলেজে শিক্ষকরা নিজ নিজ কলেজে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীর বাড়িতে পর্যন্ত ধর্ণা দিচ্ছেন। নানা সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিচ্ছেন। আবার উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কলেজেও আসন শূন্য থাকবে।
যশোর বোর্ডের শীর্ষ স্থানীয় স্থান দখল করায় খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া শহরের কলেজে এইচএসসিতে শিক্ষার্থীর ভিড় থাকবে। কিন্তু ঝিনাইদহের শৈলকুপা সরকারি কলেজ, হরিণাকুন্ডু সরকারি লালন শাহ্ কলেজ, কোটচাদপুর সরকারি মোশারফ হোসেন কলেজ, মহেশপুর সরকারি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়ার আমলা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজ, তালা সরকারি কলেজ ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সরকারি কলেজে বিগত কয়েক বছর ধরে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে আসন ফাঁকা থাকছে বলে বোর্ডের সূত্র জানিয়েছেন। যশোর শিক্ষা বোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতরের সূত্র জানান, এবছর খুলনার ৩৯২টি প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ হাজার ২৮০জন শিক্ষার্থী। খুলনায় কলেজ রয়েছে ৯৮টি।
মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ ঠিকানায় এবং টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনের ক্ষেত্রে ১৫০টাকা ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে। আর এসএমএস’র মাধ্যমে প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর একজন শিক্ষার্থী যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হবে। কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। এরপর আরও দুই দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে ভর্তির কাজ শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ