Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

খামার থেকে প্রকাশ্যে মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ

ভালুকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ময়নসিংহের ভালুকা উপজেলার আশকা গ্রামের কামরুল হাসান ও মাকসুদুল আলমের মালিকানাধীন আওলাইল বিলের মাছের খামার থেকে, স্থানীয় প্রভাবশালী কফিল উদ্দিন মন্ডল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রকাশ্যে, সম্পুর্ন বেআইনী ও জোরপূর্বক ১০লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খামার মালিক কামরুল হাসান বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার আশকা গ্রামের আওলাইল বিলের প্রায় ১৩ একর জলাভূমি ২১জন জমির মালিকের কাছ থেকে কামরুল হাসান, আব্দুর রশিদ খান ও রহিম উদ্দিন মির্জা ২০১০ ইং সাল থেকে ১২বছরের জন্য মৎস্য চাষের জন্য বছরে প্রতি ৭শতাংশ (স্থানীয় হিসেবে এককাঠা) জমির ৩ হাজার, ২শত টাকা লীজ নেন। চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রথম ৭(সাত) বছর কামরুল হাসান ও মাকসুদুল এবং বাকী ৫ বছর আব্দুর রশিদ খান ও রহিম উদ্দিন মির্জা মাছ চাষ করবেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১৬ ইং সালের ডিসেম্বর মাসে কামরুল হাসানের মেয়াদ শেষ হলে, বাকী ৫ বছরের লীজের মেয়াদ আব্দুর রশিদ ও রহিম উদ্দিন মির্জার কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ৫ বছর মেয়াদ কামরুল হাসান ও মাকসুদুল ১০ লাখ টাকায় ক্রয় করে চুক্তিপত্র করেন। কিছু দিন পূর্বে ওই বিলের ২১ জন জমি মালিকের একজন, স্থানীয় প্রভাবশালী কফিল উদ্দিন মন্ডল ওই বিলে কামরুল ও মাকসুদুলকে মাছ চাষ করতে বাঁধা দেয়।
এ ঘটনাটি নিস্পত্তির জন্য,কামরুল প্রথমে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সবশেষে ভালুকা মডেল থানায় বিচার প্রার্থী হন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিস অনুষ্ঠিত হলেও স্থানীয় যুবলীগ নেতার আতœীয় সুবাদে কফিল উদ্দিন মন্ডল কোন শালিসের সিদ্ধান্তই মেনে নেয়নি। উল্টো জোরপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে কামরুল হাসানের কাছ থেকে বিল ছেড়ে যাওয়ার একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মাছের খামার দখলের চেষ্টা চালায়। নিরুপায় হয়ে গত ২৩ এপ্রিল কামরুল বাদী হয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে স্থিতাবস্থার আদেশ জারির আবেদন করে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২৯০/১৭। বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী শুনানী পূর্বক আদেশ জারি পর্যন্ত নালিশী জমিতে কোন প্রকার শান্তি ভঙ্গ না হওয়ার জন্য ওসি, ভালুকা মডেল থানাকে নির্দেশ দেন।
কামরুল হাসানের অভিযোগ, বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী স্থিতাবস্থার আদেশ জারির পরও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে গত ২৮এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রতিরাতেই খামারে জাল নামিয়ে কফিল উদ্দিন মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করলেও ভালুকা মডেল থানা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। পুলিশের এমন অসযোগিতামুলক আচারনে খামারে কয়েক কোটি টাকার বেশি মূল্যের মাছ নিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে জানান।
কফিল উদ্দিন মন্ডল আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বিল থেকে মাছ লুটের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিলের বেশির ভাগ জমির মালিকরা তাদের জমি আমার কাছে ভাড়া দিয়েছেন। তাই আমি তাদের ওই বিলে মাছচাষে বাধা প্রদান করি। ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন-অর-রশিদ জানান, আমরা এ সমস্যাটি সমাধানে একাধিকবার শালিসে বসেও নিস্পত্তি করতে পারিনি। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নোটিশ উভয় পক্ষের মাঝে জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ