Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে হোটেল শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা নেপথ্যে তিন কিশোরের ‘ত্রিভুজ প্রেম’

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

যশোর ব্যুরো : যশোরে হোটেল শ্রমিক ছায়া খাতুনকে তিন কিশোর পরিবহন শ্রমিক ধর্ষণের পর হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ১২ দিন পর ওই তিন কিশোরকে আটকের পর র‌্যাব এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে।
‘ত্রিভুজ প্রেমের’ সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জড়িতরা স্বীকার করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন।
হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে আটকৃতরা হলো, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কড়াইতলা গ্রামের আকরামের ছেলে মফিজুর রহমান, যশোর সদরের সাবলাট গ্রামের আসাদুর রহমানের ছেলে মো. পারভেজ ও ঝিকরগাছা উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে মো. আল আমিন সজিব। এই তিনজনই যশোর-নড়াইল ও বাঘারপাড়া রুটে চলাচলকারী বাসের হেলপার।
হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে র‌্যাব-৬ জানায়, হত্যাকান্ডের শিকার হোটেল শ্রমিক ছায়া খাতুনের সাথে মফিজুর ও পারভেজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা শারিরীক সম্পর্কের দিকে এগোতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি রাজী না হওয়ায় তারা ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে। অপর আসামি আল-আমিনও মেয়েটিকে পছন্দ করতো। সেও ওই পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হয়।
উল্লেখ্য. গত ২৩ এপ্রিল শহরের নীলগঞ্জ তাতীপাড়া এলাকার নড়াইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাবু খাবার হোটেলের তৃতীয়তলার একটি টিনশেড ঘর থেকে হোটেলের শ্রমিক ছায়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পও তদন্ত করে।
তদন্তকালে হত্যাকান্ডের শিকার ছায়া’র মোবাইল নম্বর ও তার জীবন আচরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনার এক পর্যায়ে গত ৫ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হত্যাকান্ডে জড়িত তিন সন্দেহভাজন আটক করে হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ