বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাছিম উল আলম : অসময়ের নজিরবিহীন অতি বর্ষনের পরেও গ্রীষ্মের তাপ প্রবাহে দক্ষিনাঞ্চলে জন জীবন আবার বিপর্যস্ত। স্কুলের শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধদের জন্য বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ঠ দুঃসহ। তাপমাত্রার পারদ ৩৫ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করছে প্রায়সই। গতমাসের শেষভাগে অতি বর্ষনে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের কৃষিÑঅর্থনীতির চরম বিপর্যয়ের পরে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধমূখি হওয়ায় কৃষি ব্যবস্থার মত জনস্বাস্থ্যেও ঝুকি বাড়ছে।
গতমাসে দক্ষিনাঞ্চলে স্বাভাবিকের দ্বিগুনেরও বেশী ২০১% বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলে। এসময় সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাত ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১০৬%বেশী। পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ুর সংযোগ ঘটায় ১থেকে ৫এপ্রিল ও ১৯থেকে ২৪এপ্রিল দেশের বিভিস্থানের মত দক্ষিনাঞ্চলেও কালবৈশাখী বয়ে যায়। ১৯ থেকে ২৪ এপ্রিল বরিশালে ৩৩০মিলিমিটারের মত ভাড়ী বর্ষন হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমারঅ ধেয়ে এসে দক্ষিনাঞ্চলসহ গোটা উপকূলভাগে অনেকটাই শ্রাবনের ধারায় বিপর্যস্ত করে দেয়।
গোটা এপ্রিল মাসে বরিশালে অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ১২৬মিলিমিটার থাকার কথা। সেখানে গতমাসে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২৬০মিলিমিটার। গত ৩ এপ্রিল দক্ষিন-পশ্চিমের চুয়াডাঙ্গায় মওশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়-৩৮.৫ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বরিশালে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩৫.২ডিগ্রী সেলসিয়াসে। আবহাওয়া বিভাগ অবশ্য চলতি মাসে সারা দেশের মত দক্ষিনাঞ্চলেও স্বাভাবিক ২৬০মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা জানিয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত মাসের প্রথম ৬দিনে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১০মিলিমিটারেরও কম। বরিশালে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৬.৫ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বরিশাল ও খুলনা অঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়া সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষও দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগে। তবে আজ সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তনও হতে পারে। গতকাল সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে সামান্য ছিটেফোটা কিছু বৃষ্টি হলেও দক্ষিনাঞ্চলের অন্যত্র তার দেখা মেলেনি। এমনকি দক্ষিনাঞ্চলের নদী বন্দরগুলোতে কোন সতর্কতাও নেই।
গত কয়েকদিনের তাপ প্রবাহে দক্ষিনাঞ্চলের জনজীবন যথেষ্ঠ বিপর্যস্ত। গ্রীষ্মের মধ্যভাগে এসে এ তাপ প্রবাহে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট ক্রমশ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।