বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৪ বছর পর বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নুর আলম ক্লোজ
বেনাপোল অফিস : ভারতীয় ৫ পাসপোর্ট যাত্রীকে আটকে রেখে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগে ৪ বছর পর বেনাপোল পোর্ট থানার বহুল আলোচিত এসআই নুর আলমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হলেও বিষয়টি শুক্রবার রাতে প্রকাশ পায়। এসআই নুর আলমের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ৫ ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী। এর পরই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতীয় ওই নাগরিকরা যশোর পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার ও বুধবার তাদের আটকে মাদক মামলার চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কলকাতার বাসিন্দা নারায়ণ বিশ্বাস (ভারতীয় পাসপোর্ট নম্বর-জেড-৪০৩৫১৬৪) ও তার স্ত্রী শেফালি বিশ্বাস (পাসপোর্ট নম্বর-জেড-৩৯৯০৭৯৩), বাসুদেব ঘোষ (পাসপোর্ট নম্বর পি-৫১০৪৫০৭) এবং তরুণ রায়কে (পাসপোর্ট নম্বর জেড-৪০৩৫৭০৩) বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করেন এসআই নুর আলম। তাদেরকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়।
এর পর বুধবার কলকাতার রপ্তানিকারক আলী হোসেন কবিরকে (পাসপোর্ট নম্বর জেড-৪০৩৭৮৪২) বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয়। তাকেও পোর্ট থানায় নিয়ে ইয়াবা দিয়ে চালানের ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা আদায় করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এসআই নুর আলমের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে তারা সবাই যশোরে এসে এক আত্মীয়ের কাছে আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই পাঁচজনের পক্ষ থেকে আলী হোসেন কবির পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরপরই ওই রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
ভারতীয় নাগরিক আলী হোসেন কবির বলেন, ‘পুলিশ সুপার অফিসের রিসিভ করা অভিযোগপত্র নিয়ে আমরা বিষয়টি ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে জানাবো।
বেনাপোলর বড়আঁচড়া গ্রামে এসআই নুর আলম ১২ কাটা জমি ক্রয় করে তার উপর বিশাল অত্যাধুনিক বাড়ী নির্মান করছেন। বাড়ীর খরচের সাথে নুরআলমের চাকরির বেতনের কোন মিল না থাকায জন মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিযেেছ। সে বেনাপোল সহ তার নিজ এলাকা বরিশালের বিভিন্ন স্থানে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন এবং নামে বেনামে বিভিন্ন একাউন্টে টাকার পাহাড গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে অনেকে তার অর্থের ্র উৎস তদšত করার জন্য দুদককে দেখার আহবান জানান।
নির্ভর যোগ্যসূত্র জানায় নুর আলম দারোগা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে নিরীহ লোক আটক করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রাতের আধারে তাদের ছেড়ে দেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায না। গতকাল নুর আলমের ক্লোজড হওয়ার সংবাদে গোটা বেনাপোল জুড়ে সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান এসআই নুর আলমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার ভারতীয় নাগরিকদের অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।