বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুলতলা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা : খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণদিহি গ্রামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি। ফুলতলা বাজার থেকে এর দুরত্ব সাড়ে তিন কিলোমিটার। প্রতিবারের ন্যায় এবারও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ বৈশাখ থেকে বসবে ৩ দিন ব্যাপি আলেচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকমেলা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সারদা দেবীর বাবার বাড়ি এবং মাতামহি দিগম্বরী দেবীর বাড়ি ছিল এ এলাকাতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি ও মামাবাড়ি ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণদিহিতে আর তার পূর্ব-পুরুষেরা খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার পিঠাভোগে বাস করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বিয়ে হয়েছিল ভবতারিনী ওরফে মৃনালিনী দেবীর। মৃনালিনীর বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। আর রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন পীরালী বংশের লোক। রবীন্দ্রনাথ বর সেজে দক্ষিণদিহিতে আসেননি এমন প্রতিশ্রæত রয়েছে তবে ভারতের কোলকাতার জোড়া সাঁকোতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
দক্ষিণদিহি গ্রামে রবি ঠাকুরের শ্বশুর ছিলেন বেনী মধাব রায় চৌধুরী। তার পুত্র নগেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী ঐ বাড়ির দ্বিতল ভবনসহ ৮.৪১ একর জমির মালিক ছিলেন। নগেন্দ্রনাথের ২ পুত্র বীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী ও ধীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী ৭.০৮ একর জমির সত্বাধিকারী হন। পরবর্তীতে দ্বিতল ভবনসহ এই জমির সরকারের অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। দীর্ঘদিন জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে ১৯৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাড়িটি অবৈধ দখলমুক্ত হয়। এরপর ফুলতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস শামিমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার ভুমি অমিতাভ সরকারসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সহায়তায় বাড়িটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী রিয়াজুল হকের নেতৃত্বে ফুলতলায় সুধীজন, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভায় ঐ বাড়িটিকে রবীন্দ্র কমপ্লেক্স করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই থেকে কমপ্লেক্স ভবনের উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। দ্বিতল ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ও মৃনালীনি দেবীর আবক্ষ মুর্তি। শুধুমাত্র সীমানা প্রাচীরের কাজটি সমাপ্ত হয়েছে। কিছুটা ভারতের শান্তিনিকেতনের আদলে রবীন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকলেও ২২ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।