পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চারশ বছর আগে যেই নদীর বুকে ঢাকার জন্ম হয়েছিল, সেই অনন্ত যৌবনের বুড়িগঙ্গা বর্তমানে মৃত প্রায়। অথচ এই নদীকে কেন্দ্র করে ঢাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিল-কলকারখানাসহ ঢাকার অনেক কিছুই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো যে, শত চেষ্টা করেও বুড়িগঙ্গাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবহার বা বুড়িগঙ্গাকে চলতে দেয়া হচ্ছে না। যার ফলে ক্রমেই বুড়িগঙ্গার পানি নষ্ট হতে হতে বর্তমানে বুড়িগঙ্গায় পানি আর পানির মতো বোঝা যায় না।
বুড়িগঙ্গা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নমহল গবেষণা ও জরিপ চালিয়েছে তারই দারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীও একটি গবেষণা চালিয়ে থাকে।
তাদের গবেষণার তথ্যমতে বুড়িগঙ্গায় প্রায় ৬২ রকমের রাসায়নিক বর্জ্য রয়েছে একই সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যার ফলে ওই পানিতে যেকোনো ধরণের জলজ প্রাণীর বসবাসের সম্ভাবনা একেবারেই কম বলেও তাদের গবেষণায় জানানো হয়েছে। এছাড়াও তাদের গবেষণায় উঠে আসে, বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পলিথিনসহ প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য রয়েছে।
তাদের গবেষণায় আরও জানা যায়, বুড়িগঙ্গায় যে, ভারী নৌযান চলাচল করছে সেই নৌযানের তেল, তীরের ডাইং কারখানার বর্জ্য এবং সারা ঢাকা শহরের সব বর্জ্যই কিন্তু এই নদীতে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের মানুষ পানির সঙ্কটে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে তাদের গবেষণায় জানা যায়।
এই অবস্থায় বুড়িগঙ্গাকে টিকিয়ে রাখতে ঢাকা সিটির বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন মেয়রের দেয়া প্রতিশ্রæতি থাকলেও কোনোভাবেই কাজে আসেনি। যদিও এর আগে আমরা জানতে পেরেছিলাম যে, বুড়িগঙ্গাকে লন্ডনের টেমস নদীর মত করে বুিড়গঙ্গার সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। সেই কাজ কিছুটা শুরু হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে আর হয়তো বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো গেলো না। যার ফলে দেখা যাচ্ছে যে, বুড়িগঙ্গা ভবিষ্যৎ মরুভ‚মির দিকে আগাচ্ছে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।