বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের উদ্যোগে সাইখুল ইসলাম আল্লামা সিদ্দিক আহমদ আব্বাসী, জৈনপুরী (রহঃ) এবং আল্লামা নিছার আহমদ আব্বাসী জৈনপুরী (রহঃ) দ্বয়ের ইছালে সাওয়াবের মাহফিল গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জৈনপুরী দরবারের গদ্দিনাশীন পীর, মুফতি ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তব্যে জৈনপুরী পীর সাহেব বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল চেতনা হলো ইসলাম এবং মুসলমান। আলেম ওলামা পীর মাশায়েখগণ। তাদের অবদান অনস্বীকার্য আর সেই সমস্ত ওলীদের মধ্যে অন্যতম হলো হাদীয়ে বাঙ্গাল শাহ্ কেরামত আলী জৈনপুরী (রহঃ) যিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা আধ্যাত্মিক স্থপতি। কেননা এই দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম ধাপটিই ছিল টু ন্যাশন থিওরি বা দ্বি-জাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে দেশ বিভক্তি। যে অংশে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি সেটা পাকিস্তান আর যে অংশে হিন্দুর সংখ্যা বেশী সেটা হিন্দুস্থান। তারই ধারাবাহিকতা ’৪৭ সালে দেশ বিভক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ’৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এখন প্রশ্ন হলো ’৪৭ সালে কিভাবে মুসলমানের সংখ্যা বেশী হলো। তার জবাব একটাই শাহ্ কেরামত আলী জৈনপুরী (রহঃ) এর সুদীর্ঘ ৫০ বৎসরের দাওয়াত ও তাবলিগের ফলশ্রæতিতে তৎকালীন সময়ে তার হাতে এক কোটি লোক মুসলমান হয়েছিল। সুতরাং পীর মাশায়েখ আলেম ওলামাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসাবে উপস্থাপন করাটা চরমভাবে গাদ্দারীর শামীল। জৈনপুরী পীর সাহেব নাস্তিকদেরকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামীতে যদি তারা কখনো আলেম ওলামাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তবে তার শাস্তি ইমানদার মুলমানরা নিজ হাতে দিবে ইনশাআল্লাহ।
পীর সাহেব আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৫ মে লাখ লাখ মাদরাসার ছাত্ররা, মুসলমানদের ইমানী ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য শাপলা চত্বরে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিল। আমি নিজেও সেখানে তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাতের কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। সেই ইতিহাসকে আহমদ শফী সাহেবরা ভুলে যেতে পারেন, কিন্তু আমরা তা ভুলতে পারি না। যাদের শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই তাদের মুসলমানদের নেতৃত্ব দেবার কোন অধিকার নেই। আজ তাদের এমপি-মন্ত্রী হওয়ার শখ জেগেছে। কিন্তু শহীদের সাথে গাদ্দারি যেই বা যারা করুক না কেন তাদেরকে কেয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতা করতেই হবে।
অবশেষে খাস মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদের জন্য দোয়ার মাধ্যমে ইসালে সাওয়াব মাহফিলে সমাপ্তি ঘটে। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জৈনপুর থেকে আগত আল্লামা সামসুল আরেফিন জামি সিদ্দিকী জৈনপুরী, আল্লামা ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরী, মাওলানা এনামুল হক আজাদী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।