Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হত্যা মামলা গ্রহণ করেনি কমলগঞ্জ থানা

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যগঞ্জে গত বছরের ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জালাল মিয়া (৪৫) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা রুজু করলেও জালাল মিয়ার ছোট ভাই সফাত মিয়া বাদি হয়ে হত্যা ঘটনায় ৩ নভেম্বর মৌলভীবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ময়না তদন্ত রিপোর্টে নিহত ব্যক্তির চোখ ও মুখে আঘাতের কিছু আলামত পাওয়া গেলেও ঘটনার ৮ মাসেও আদালতের নির্দেশনার পরও পুলিশ মামলা রুজু করেনি। গত শুক্রবার বেলা ১২টায় কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন জালাল মিয়ার বড় ভাই আজাদ মিয়া।   অভিযোগে বলা পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের তেজ মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়াসহ আরও কয়েক ব্যক্তি গত বছরের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে জালাল মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে  হত্যা  করেছিল। হত্যা ঘটনা বলার পরও কমলগঞ্জ থানা পুলিশ এ ঘটনায় কৌশলে সাদা কাগজে আজাদ মিয়ার স্বাক্ষর নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে। পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জালাল মিয়ার ছোট ভাই সফাত মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা (২৩২/১৬) দায়ের করেন। আদালত প্রাথমিক সত্যতা সাপেক্ষে মামলাটি এফআইআর করার জন্য কমলগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত রিপোর্টে নিহত জালাল মিয়ার চোখ ও মুখে আঘাতের কিছু আলামত পাওয়া যায়। হত্যা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরও পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে রুজু করছে না । এদিকে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে উল্টো আসামীগনের পক্ষ থেকে গত বছরের ৩০ অক্টোবর আলাতুন বেগমকে বাদি করে ৩ জন স্কুল ছাত্রসহ ১০ জনকে আসামী করে মিথ্যে লুটপাটের মামলা দায়ের করে হয়রানির চেষ্টা করছে। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চেয়ে ওয়াতির মিয়া ও সিরাজ মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হত্যার এ অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হিসাবে রুজু করা হবে। তাছাড়া ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ