পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বহুল প্রতীক্ষিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’ এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ৩ মিনিটে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের চেন্নাই থেকে একশ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে টেলিযোগাযোগ, টেলি-মেডিসিন, টেলি-এডুকেশন ও অন্যান্য খাতে দ্রæত সেবা প্রদানে অবদান রাখবে। এটি নির্মাণে ৩ বছর সময় লেগেছে। উল্লেখ সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সফল উৎক্ষেপণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দমোদর দাস মোদি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে আমরা একই পরিবারের সদস্য। এই উপমহাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, প্রগতি ও সমগ্র মানবতার স্বার্থে আমরা এক হয়েছি। ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত সার্ক সদস্যভুক্ত ৭ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা এ অনুষ্ঠানে যোগ নে। নরেন্দ্র মোদি সবাইকে স্বাগত জানান।
সার্ক সদস্যভুক্ত ৮ (আফগানিস্তানসহ) দেশের মধ্যে শুধু পাকিস্তান এই উপগ্রহের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেনি। ভারতের এ প্রস্তাবের জবাবে পাকিস্তান বলেছিল, তাদের নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচি আছে।
উপগ্রহটি সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপিত হওয়ার সময় থেকেই পাকিস্তান ছাড়া সার্কের বাকি ৭ সদস্য দেশ এ থেকে প্রভূত উপকৃত হবে। বিভিন্ন ধরনের টেলি যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ছাড়াও এই উপগ্রহের সাহায্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম বার্তা পাওয়া এবং তার সুষ্ঠু মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিন বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ইসরো) বিজ্ঞানীদের নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন এমন একটা উপগ্রহ তৈরি করতে, যার দ্বারা দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ক সদস্যভুক্ত দেশগুলো উপকৃত হতে পারবে। তখনই এ উদ্যোগের শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এ প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কাজ শেষ হয়ে গেলে গত ৩০ এপ্রিল ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ উপগ্রহ সম্পর্কে বলেন, জিস্যাট-৯ আমাদের প্রতিবেশীদের জন্য এক অমূল্য উপহার হতে চলেছে। উন্নয়নের স্বার্থে এ উপগ্রহের অবদান হবে সুদূরপ্রসারী।
স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’ উৎক্ষেপণে ভারতের ইসরোর সাফল্যের পাগড়িতে এ এক উজ্জ্বল পালক। ইসরো চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার জানান, গত ২৮ ঘণ্টার কাউন্টডাউনের পর অত্যন্ত সফলভাবে এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্বার্থে এ এক দৃঢ় পদক্ষেপ। উৎক্ষেপণের আগেই ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর টুইট করে বলেন, এ উপগ্রহ স¤প্রীতি ও সহযোগিতার প্রতীক; ভারত যা সব সময় কামনা করে এসেছে। এ উপগ্রহের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সদস্য দেশগুলোতে মজুত প্রাকৃতিক সম্পদের খবরাখবরও পাওয়া যাবে। সম্ভব হবে সঠিক ভৌগোলিক ‘ম্যাপিং’। মোট ৪৫০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচে তৈরি এ উপগ্রহটি আগামী ১২ বছর কর্মক্ষম থাকবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।