Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের ঘোষণা অনুযায়ী বিদেশ যাচ্ছে ৬৯ হকার

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলিস্তান থেকে উচ্ছেদের পর বেকার হয়ে পড়া হকারদের বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। আড়াই হাজার প্রকৃত হকারের মধ্যে আবেদন করা ৬৯ জনকে বিদেশে পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর) এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেছে সিটি কর্পোরেশন। মেয়র সাঈদ খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গুলিস্তানসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অকৈধভাবে সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন হকাররা। যানজট নিরসন ও জনসাধারণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পাক্ষ থেকে ঢাকার ফুটপাত হকারমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী স¤প্রতি গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি ফুটপাতে কোনো হকারকে বসতে দেয়া হয়নি। অনেক আন্দোলন, প্রতিবাদ, সভা-সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের পরও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কে বসার কোনো অনুমোদন পাননি হকাররা। উচ্ছেদের পর গুলিস্তান ও এর আশপাশ এবং নিউমার্কেট এলাকার প্রকৃত হকারদের তালিকা তৈরি করেছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে গুলিস্তান এলাকা থেকে দুই হাজার ৫০২ জন এবং নিউমার্কেট এলাকার ৯৩৪ জন প্রকৃত হকারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া শাহবাগের শিশুপার্ক ও অন্যান্য এলাকায় তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকাভুক্ত এসব হকারকে আইডি কার্ড প্রদানসহ দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। বিকল্প পন্থায় তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগ্রহী হকারদের কাজের জন্য বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ডিএসসিসি। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। ডিএসসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকনের ঘোষণা অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৬৯ জন হকার স্বেচ্ছায় বিদেশ যেতে আবেদন করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা তৈরিসহ নাম, বিস্তারিত ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়া হয়েছে। বিদেশ যেতে আগ্রহী আবেদনকারী হকাররা হলেন- কাপ্তান বাজারের নেছার আহাম্মদ, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, মোহাম্মদ মনির, মোহাম্মদ রাব্বানী, মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন, হারুন, জাফর আহাম্মেদ, মোহাম্মদ খবির, মোহাম্মদ সেন্টু মাতুব্বর, জিয়া শেখ, মোহাম্মদ মুকুল মাতুব্বর ও মোহাম্মদ বশির হাওলাদার, শাদ মার্কেট কমপ্লেক্সের মোহাম্মদ শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জের শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলেমান, নুর আলম ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নবাবপুরের জয়নাল, শনির আখড়ার মোহাম্মদ হাসান শেখ, মোসা. সুলতানা আক্তার ও মোহাম্মদ মনির হোসেন, কদমতলীর নান্টু মিয়া, মিরাজ নগরের মোহাম্মদ আলম মিয়া, সাভারের মোহাম্মদ শাহিনুল হক, দনিয়ার আব্দুর রহমান, নবাব কাটারার মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন ও মোহাম্মদ স্বপন, উত্তর রায়ের বাগের মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন মামুন, মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ মোহন ও জব্বার মিয়ার বাড়ির মোহাম্মদ হানিফ, আবুল হাসনাত রোডের মোহাম্মদ নাজির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কামরুল পাটোয়ারী, সেক্রেটারিয়েট রোডের মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম (অপু), সিদ্দিক বাজারের মোহাম্মদ আবুল হোসেন খান, কায়েতটুলীর মাঈন উদ্দিন, কাজী আলাউদ্দিন রোডের মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, শরৎ চন্দ্র চক্রবর্তী রোডের মোহাম্মদ ফালান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ কাজল মিয়া, বংশাল রোডের মোহাম্মদ সাকের, গিরিধারা মাতুয়াইলের শাকিবুর রহমান, নন্দীপাড়া ১নং মাদরাসা রোডের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কোনপাড়া কাঠেরপুলের কাদের শরীফ, পাঁচ ভাই ঘাট লেনের আব্দুর মান্নান সরদার, রূপগঞ্জের মোহাম্মদ রাকিব হাসান ও মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, গুলিস্তানের মোহাম্মদ ফরিদ, মীর হাজীরবাগের মোহাম্মদ মানিক খান, উত্তর মান্ডার মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ফকিরাপুলের মোহাম্মদ সাত্তার, উত্তর মুগদা পাড়ার মোহাম্মদ আতাবুল করিম, খিলবাড়ীর টেকের রিনা আক্তার, ভোলার সুমাইয়া বেগম (সুমি), করিমুল্লাহ বাগের মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, চাঁদপুরের মোহাম্মদ শাহেন শাহ, সিদ্ধিরগঞ্জের মোহাম্মদ রাসেল হায়দায়, কামরাঙ্গীরচরের পারুল বেগম, ঝিনাইদহের মোহাম্মদ শাহিন বিশ্বাস, কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ আমির. মোহাম্মদ শুকুর আলী ও মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী, ডেমরা সারুলিয়ার মোহাম্মদ ইস্কান্দার বেপারি, মনির হাওলাদার, মোহাম্মদ লাবলু কাজী ও মোহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন বেপারি, চাঁদপুরের মোহাম্মদ হারুন এবং কাজী আব্দুল হামিদ লেনের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ফরাজী। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ঢাকার ফুটপাত দখলমুক্ত এবং পথচারীদের চলাচল নির্বিঘœ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকা হকারমুক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, যেসব হকার বিদেশে যেতে আগ্রহী আমরা তাদের আবেদন করতে বলেছি। ইতোমধ্যে ৬৯ জন হকার স্বেচ্ছায় বিদেশ যেতে আবেদন করেছেন। তাদের বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এলজিইডি এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ