বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুর অফিস : ২০১৭ সালের দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার ৮৩ দশমিক ৯৮। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। গত বারের তুলনায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ উভয়ই কমেছে। ১৬৬টি বিদ্যালয়ের শতভাগ পাশের রেকর্ড হয়েছে। কেউই পাশ করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১টি।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষনা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ তোফাজ্জুর রহমান। এসময় বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাকিবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবার পাশের হার ৮৩ দশমিক ৯৮ ভাগ। যা গত বার ছিল ৮৯ দশমিক ৫৯ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৭২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার বেশি। ছাত্রদের পাশের হার ৮২ দশমিক ৩০। আর ছাত্রী পাশের হার ৮৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩৪ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৯৯৫ জন ছাত্রী। গত বারের তুলনায় এবার ১৯৭০ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬হাজার ৮০৭ জন। এখানে ৩ হাজার ৮৮৩ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৯২৪ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন এর মধ্যে ৪৭ জন ছাত্রী ও ১২ জন ছাত্র। ব্যবসা শিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ৬৩ জন। এর মধ্যে ৩৯ জন ছাত্র ও ২৪ জন ছাত্রী।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর নকলের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিল ৪৯ জন পরীক্ষার্থী। কেউই পাশ করেনি এমন ১টি বিদ্যালয় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এবার শতভাগ পাশ করেছে এমন স্কুলের সংখ্যা ১৬৬টি। গতবার এর সংখ্যা ছিল ২৬৯টি। দিনাজপুর বোর্ডে অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় ২ হাজার ৬০৬টি বিদ্যালয়ে ২৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
১৬ হাজার ৪৬ জন উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৮ জন। ঠাকুরগাঁও জেলার পাশের হার ৮৩ দশমিক ২৮ ভাগ। ১৩ হাজার ৯১৮ জন উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩৮ জন পরীক্ষার্থী। লালমনিরহাট জেলার পাশের হার ৮৩ দশমিক ০৯ ভাগ। ১০ হাজার ৪৪৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২২৮ জন। পঞ্চগড় জেলার পাশের হার ৮০ দশমিক ৬৭ ভাগ। ৯ হাজার ৩৮ জন উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬৬ জন। দিনাজপুর জেলার পাশের হার ৭৯ দশমিক ৭৫ ভাগ। ২৭ হাজার ১৭৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৯ জন পরীক্ষার্থী।
সাফল্যের শীর্ষে নীলফামারী
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে নীলফামারী জেলা। ২০১৭ সালের দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ২৬০৬টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২জন। রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে নীলফামারী জেলার পাশের হার ৭৮ দশমিক ৯৬।
এই জেলার ১৫ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫০ জন। রংপুর জেলার পাশের হার ৮৭ দশমিক ৫৭ ভাগ। এই জেলার ২৫ হাজার ৯৯৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১৭০ জন। গাইবান্ধা জেলার পাশের হার ৮৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। ১৯ হাজার ৪৮৫ জন উত্তীর্ণ ও ৭৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কুড়িগ্রাম জেলার পাশের হার ৮৩ দশমিক ৩৫ ভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।