Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৫৭ ধারার বিভ্রান্তি দূর করা হবে -আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বিভ্রান্তি ও দুর্বলতা দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  তিনি বলেন, এটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য করা হয়েছিল। এর মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটিকে আমরা দূর করবো। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে এক বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত করছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে,প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তা দূর করা হবে। এ ছাড়া এই ধারা নিয়ে  যে বিভ্রান্তি আছে, তাও দূর করা হবে। আইসিটি বিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ডিজিটাল সিকিউরটি অ্যাক্ট নামের আইন করা হচ্ছে। যা আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে আছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, হস্তক্ষেপের  কোনো অভিপ্রায়ও নেই। একটি গণতান্ত্রিক সরকার যদি বিচার বিভাগকে সহায়তা না করে, তবে তা সত্যই দুঃখজনক। কয়েকজন সাংবাদিককে ৫৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তারের কথা সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি বলেন, আপনারা যে মামলাগুলোর কথা বললেন সে মামলাগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলব।
বিচার বিভাগকে পঙ্গু করার চেষ্টা করলে তা বরদাশত করা হবে না স¤প্রতি প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি এখানে  কোনো কথা বলব না। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুরাতন শক্তিশালী বন্ধু। বন্ধুত্ব রক্ষা করতে এ ধরনের বৈঠক মাঝে মধ্যেই হবে। বন্ধুত্ব রক্ষার করার কৌশল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বøুম বার্নিকাট বলেন, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। আমরা বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করব।  মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফ্রিডম অব প্রেস এ বিশ্বাসী। এমন কোনো আইন হবে না। যাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৯৭ কোটি ডলার (৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি) পাচার হয়েছে বলে গেøাবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক এই গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল- এই ১০ বছরে বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও অন্যান্য অবৈধ পথে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে।  সোমবার প্রকাশিত ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল  ফ্লোজ টু অ্যান্ড ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৫-২০১৪ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে জিএফআই। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বলেন, আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং আইন রয়েছে। যদি টাকা পাচারের ঘটনাটি সত্য হয়, তাহলে আমরা এই আইনেই এটির বিচার করতে পারবো। আমি পরিষ্কার করে বলতে আই। দেশে একটি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট আছে। এই রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এ আইনে বিচার হবে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা। ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদন্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা। ওয়ালটনের পণ্য নিয়ে প্রতিবেদনের জের ধরে ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া এক মামলায় স¤প্রতি অনলাইন নিউজ  পোর্টাল নতুন সময় ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া আরও কয়েকজন সাংবাদিককে ৫৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তারের কথা সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি বলেন, আপনারা যে মামলাগুলোর কথা বললেন সে মামলাগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ